নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ৬ নভেম্বর৷৷ দীর্ঘ বার দিন পর নোটন দাসের মৃতদেহ উদ্ধার কলমচৌড়া ও বিশালগড় থানার প্রচেষ্টায়৷ গত ২৫ অক্টোবর দূর্গানগর এলাকার শিবনগরের কাঠমিস্ত্রি নোটনকে মোবাইলে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কে বা কাহারা৷ তারপর থেকে নোটন দাস নিখোঁজ৷
নোটন দাস নিখোঁজের ডাইরি ২৭ অক্টোবর বিশালগড় থানায় রুজু করেন তার পিতা৷ নোটনের রক্তমাখা বাইক কলমচৌড়া থানার পুলিশ বক্সনগরের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়৷ তার দুদিন পর বিশালগড় থানা এবং কলমচৌড়া থানা মিলে ডগ স্কোয়াড দিয়ে বক্সনগর জঙ্গলে তল্লাশি চালায়৷ কিন্তু নোটন দাসের কোনো সন্ধান করতে পারেনি৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায় নোটন দাসকে বাগবেরের অভিজিৎ দাস বিভিন্ন প্রলোভনের ফাদেঁ ফেলে বাড়ী থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে আসে৷ বক্সনগর বন বিভাগের ডেলানিয়া গভীর জঙ্গলে মেরে ফেলে বস্তার ভিতরে ভরে মাটির গর্তে পূঁতে দেয়৷ পুলিশ সুত্রে জানা যায় যে নোটনের স্ত্রী সোনালী দাস সম্পর্কে বেয়াইন হন৷ আর বেয়াইনের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে৷ অভিজিৎ দাস পরিকল্পনা করেছিল নোটনকে এই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েই সোনালীর সঙ্গে ভাব বিনিময়ে লিপ্ত হবেন৷ অবশেষে মোবাইল ফোনের সুএ ধরে পুলিশ খুনি অভিজিৎ দাসের সন্ধান পায়৷
আজ রাত সাড়ে সাতটায় বিশালগড় থানা ও কলমচৌড়া থানা মিলে বাগবের বাড়ি থেকে অভিজিৎকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছে৷ পুলিশকে সম্পূর্ণ খুনের ঘটনার রহস্য খুলে বলে অভিজিৎ৷ তার পরই আটটার সময় বিশালগড় থানা ও কলমচৌড়া থানার ওসি বিশাল পুলিশ এবং ফরেনসিক টীমের ডাক্তার এবং বক্সনগর ব্লকের বিডিও উপস্থিত হয়ে নোটন দাসের লাশ ডেলানিয়া জঙল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ৷ তার ভাই শনাক্ত করতে পেরেছে সেই নোটন দাস৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ এই হত্যাকান্ডের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷