BRAKING NEWS

Fake news case on social media : সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো খবর প্রচার মামলায় গ্রেফতার ৮, টুইটারের কাছে তথ্য চাইল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ নভেম্বর৷৷ সামাজিক মাধ্যমে ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং ঘৃণা ছড়ানোর কাজে লিপ্তদের জালে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ৷ টুইটার-কে নোটিস পাঠিয়ে প্রায় ৭০ জনের একাউন্ট ব্লক এবং তাঁদের সমস্ত তথ্য সরবরাহের আবেদন জানিয়েছেন পশ্চিম আগরতলা থানার ওসি৷
প্রসঙ্গত, মসজিদে অগ্ণিসংযোগ এবং ভাংচুরের ভুয়ো খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছিল৷ প্রকৃত ঘটনাকে পর্দার আড়ালে রেখে ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই ওই সমস্ত ভিডিও ভাইরাল করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা, পুলিশের তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে৷ বাংলাদেশে দূর্গা মূর্তি ও মন্ডপ ভাঙ্গার পর হিন্দুদের উপর লাগাতর হামলায় ঘটনার প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকেই ত্রিপুরায় সামান্য উত্তেজনা ছড়িয়েছিল৷ ওই ঘটনাকে রঙ লাগিয়ে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে বিশ্বের দরবারে পেশ করা হয়েছে৷


ত্রিপুরা পুলিশ তদন্তে নেমে ওই সমস্ত টুইটার ব্যবহারকারীদের তালিকা তৈরী করেছে৷ কারণ, টুইটার থেকেই অধিকাংশ ঘৃণা ভরা বার্তা ছড়ানো হয়েছে৷ পশ্চিম আগরতলা থানার ওসি টুইটার-কে সিআরপিসি ৯১ ধারায় নোটিস পাঠিয়েছেন৷ তাতে তিনি ওই টুইটার ব্যবহারকারীদের তালিকা তুলে ধরে তাঁদের সমস্ত তথ্য সরবরাহের আবেদন জানিয়েছেন৷ শুধু তাই, তাঁদের একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷ ইতিমধ্যে টুইটার কয়েকটি একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে৷ হিন্দুস্থান এদিকে, ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো এবং সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো খবর প্রচারের অপরাধে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে৷ তাঁরা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে৷ ত্রিপুরা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ভগ্ণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন বহিরাজ্যের বাসিন্দা রয়েছেন৷


প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর দিল্লি থেকে তেহরিক ফার্গুহ-ই-ইসলাম সংগঠনের চারজন সদস্য পানিসাগরে আরসিপিই কমপ্লেক্সে অবস্থিত পরিত্যাক্ত মসজিদ পরিদর্শন করেন৷ পুলিশ তাঁদের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ কিন্ত তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশ কর্মীদের অপমান করেন এবং পুলিশের সাথে দুর্ব্যবহার করেন৷ শুধু তাই নয়, তাঁরা মোবাইল ক্যামেরায় মিথ্যা তথ্য রেকর্ড করছিলেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টায় ছিলেন৷ তাই, পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা নেন এবং তাঁদের নোটিশ পাঠান৷ পানিসাগর থানার পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ১২০বি, ১৫৩এ, ১৫৩বি, ৫০৩ ও ৫০৪ এবং ইউএলএ(পি) ১৩ ধারায় মামলা রুজু করেছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় সবর্োচ্চ সাজা ৭ বছর হওয়ার বিধান রয়েছে৷ তাই, পুলিশ তাঁদেরকে থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য সিআরপিসি ৪১ ধারায় নোটিস পাঠিয়েছিল এবং ৫ নভেম্বর থানায় হাজির থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল৷ কিন্ত, তাঁরা নোটিস গ্রহণে অস্বীকার করেন৷ তাই, পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে এবং আদালতে সোপর্দ করেছে৷ আদালত তাঁদের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে৷ এদিকে, ওই চারজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পত্র ভুয়ো ছিল৷ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন মুদাসসির নাদির দীভাকর, আসানুল হক, আসিফ রাজা খান এবং কামারগানি উসমানী৷
পুলিশের উচ্চ আধিকারিকের দাবি, পানিসাগরের ঘটনায় ইতিপূর্বে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ তারাও বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবরের ঘটনায় চারটি মামলা রুজু হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *