নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১ নভেম্বর৷৷ দুইদিনের অপহরণের পর মুক্তি পেয়ে যুদ্ধ চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দীর্ঘ চাপের মুখে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবকের মৃতদেহ শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা সম্ভব হল৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন কাকড়ার ছড়া এলাকায়৷ মৃতদেহ উদ্ধার করার পর তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে মর্গে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়৷
উল্লেখ্য তিপ্রা মথা নামধারী দুষৃকতিকারীদের দলের দাপাদাপিতে আতঙ্কিত ড্রজার চালকের দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু৷ ঘটনা রবিবার রাত আনুমানিক আটটা নাগাদ৷ মুঙ্গিয়াকামী থানা এলাকার কাঁকড়া ছড়া এলাকায়৷মৃত লোকটির নাম প্রসেন সূত্রধর পিতা পরিমল সূত্রধর৷ বাড়িত আমবাসা কূলাই এর কেকমা ছাড়া এলাকায়৷ মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের নোনাছড়া এ.ডি.সি ভিলেজের একটি ২৫ লক্ষ টাকা বাজেটের ঠিকাদারি কাজ করছিল আগরতলার জনৈক ঠিকেদার দীপঙ্কর দে৷ তখন এলাকার তিপ্রা মথা নামধারী একাংশ দুসৃকতিকারীরা জনৈক ঠিকেদার দীপঙ্কর দের নিকট ২ লক্ষ টাকা দাবি করে৷ কিন্তু ২ লক্ষ টাকা দিতে অক্ষম বলে সাফ জানিয়ে দেন ঠিকেদার দীপঙ্কর দে৷
পরবর্তীতে রবিবার ৩০-৩৫ জন তিপ্রা মথার নামধারী দুষৃকতিকারী এই কাজের স্থানে গিয়ে কাজে বাঁধা দান করে৷ এবং জনৈক ঠিকাদারের ড্রজার গাড়ির চালক তথা আমবাসা কুলাই এলাকার প্রসেন সূত্রধর কে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে৷ সে ভয়ে ভীত হয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে নোনাছড়া স্থিত স্থানীয় টি.এস.আর ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়৷ এবং জনৈক আগরতলার ঠিকেদার দীপঙ্কর দে’’কে এই বিষয় সম্পর্কে অবগত করে৷ তখন ঠিকাদার বাবু বিষয়টি তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়ার গোচরে নেন৷ তখন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক স্থানীয় মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ নিয়ে নোনাছড়া টি.এস.আর ক্যাম্পে পৌছায়, এবং ড্রজার গাড়ির চালক প্রসেনজিৎ দাস সহ ড্রজার গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে আসার পথে স্থানীয় কাঁকড়া ছড়া এলাকায় পৌঁছতেই বাঁক নিতে গিয়ে মূল সড়ক থেকে ১৫০ থেকে ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়৷ এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমবাসা কুলাই এলাকার কেকমা ছড়া বাসিন্দা তথা ড্রজার গাড়ির চালক প্রসেন সূত্রধর৷
ঘটনার খবর যায় তেলিয়ামুড়া দমকল বাহিনীর কার্যালয়ে৷ দমকল বাহিনীর কর্মীরা পৌঁছানোর আগেই মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ, টিএসআর ১২নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা প্রসেন সূত্রধর মৃতদেহের তল্লাশি শুরু করে৷ পরবর্তীতে দমকল বাহিনীর জওয়ানরা ও ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযানে হাত লাগায়৷ অনেক চেষ্টার পর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ ফুট গভীর খাদে প্রসেনজিতের নিথর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়৷
যদিও জানা যায়, রবিবার রাতে প্রসেনজিতের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ সোমবার বিকেলে প্রসেন সূত্র ধরের মৃতদেহ উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ৷ ময়নাতদন্ত শেষে নিথর মৃতদেহ পরিবারের লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ তার মৃত্যু তার অকালমৃত্যুতে পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়ে৷
এদিকে এ খবর শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি বিকাশ দেববর্মা৷ তিনি ঘটনার খোঁজখবর নেন এলাকাবাসীদের কাছ থেকে৷ এদিকে তিনি জানান যে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ক্রমে দোষীদের শাস্তি হোক৷ তিনি রাজ্য সরকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে৷উন্নয়নমূলক কাজের বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি যেন গ্রহণ করেন প্রশাসন৷তিনি আরো জানান এ ধরনের কাজকর্ম হলে উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না৷ তিনি আরো জানান অপহরণতারপর ঠিকাদারের কাছে দু লক্ষ টাকা চাওয়া ত্রিপুরা