‘Go Gyan Foundation’ has filed a case : গো পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল ‘গো জ্ঞান ফাউন্ডেশন’, থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৯ আগস্ট।। দীর্ঘ দিনের পুরনো তেলিয়ামুড়া গরু বাজারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সরকারি নিয়ম বিধি না মেনে গবাদি পশু ক্রয় বিক্রয় এর উপর মামলা করলেন গো জ্ঞান ফাউন্ডেশন। প্রতি সপ্তাহের মতো শুক্রবার ছিল তেলিয়ামুড়ার হাটবার। এই হাট বারের দিনে নেতাজি নগর এলাকায় গরু বাজারে সকাল থেকেই ধুন্ধুমার কান্ড।এইদিন তেলিয়ামুড়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ক্রেতা ও বিক্রেতা বাজারে ভিড় জমায় দীর্ঘ দিনের পুরাতন এই গরু বাজারে।


জানা যায়, শুক্রবার যখন জমজমাট বাজার চলছিল ঠিক তখনই কবিতা জৈন নামে গো জ্ঞান ফাউন্ডেশন একজন সম্পাদক এবং সুব্রত দাস নামে এক সদস্য তেলিয়ামুড়া গরু বাজারে থানার পুলিশ নিয়ে হাজির হন। গো জ্ঞান ফাউন্ডেশন এর অভিযোগ, এই বাজার টি সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুসারে হচ্ছে না। সরকারি নীতি নির্দেশিকা থাকলেও সবটাই কলাপাতা। নির্দেশ অনুসারে গরু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট শেড ঘর থাকা দরকার । থাকতে হবে চিকিৎসক। গবাদি পশুর জন্য থাকতে হবে পর্যাপ্ত জল ও খাবার। এই সবের কিছুই নেই।সম্পুর্ন অমানবিক ভাবে বাজারে গরু গুলিকে রাখা হচ্ছে। তাছাড়া গরু গুলিকে যে ভাবে বেআইনি ভাবে গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় তাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে।

পুলিশ মাঝে মাঝে গাড়িগুলিকে বেআইনি গরু বহন করার অপরাধে ফাইন না করে ওভার লোড ফাইন কেটে সেই গাড়ি গুলিকে ছেড়ে দেয়। অনেক সময় দেখা যায় গরুগুলিকে এক জায়গায় এবং বাছুর অন্য জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পক্ষের অভিমত, তেলিয়ামুড়ার এই গো-বাজার টি দীর্ঘ দিনের পুরনো বাজার এবং তেলিয়ামুড়ার এগ্রি প্রডিউস মার্কেটিং সোসাইটির অনুমোদনপ্রাপ্ত বাজার। তবে কীভাবে এই বাজার’টিকে ওই পশু প্রেমী সামাজিক সংস্থা অবৈধ বলে আখ্যায়িত করতে পারে?
‘গো জ্ঞান ফাউন্ডেশন’ একটি পশু প্রেমী সামাজিক সংস্থা। এটি মূলত বিভিন্ন গবাদি পশুদের যেভাবে বহিঃ রাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে জবাই করা হয় তা যেন বন্ধ করা যায় সেই সম্পর্কে মানুষজনদের মধ্যে সচেতন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই সংস্থা কাজ করে থাকে।


পরবর্তীতে এই সংস্থার পক্ষ থেকে তেলিয়ামুড়া থানায় একটি মামলা করা হয়। যার নম্বর হলো 105/21 u/s 429 ipc। এ নিয়ে ওই বাজারে শুরু হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে চাঞ্চল্য। কৃষকরা যারা বাজারে গরু ক্রয় বিক্রয় করতে এসেছিলেন তারা নিজেদের গরু নিয়ে বাড়িতে চলে যান।
তাদের অভিমত, এরকম ঘটনায় তাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। বাজারে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে।


তাছাড়া এদিন বাজারে উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতার সহ কৃষকরা এখন প্রশ্ন তুলেছেন , ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন স্থানে গবাদি পশু গুলোকে এক গাড়িতে গাদাগাদি করে নিয়ে যাওয়ার সময় কোথায় থাকে ওই সামাজিক সংস্থা ? পুলিশের সামনে দিয়েই গাড়ি বোঝাই করে গরু নিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কি হবে এদিন মামলা হওয়ার পর তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ একটি গাভিকে থানায় পাকড়াও করে নিয়ে যায়।
তবে এই সংস্থার এক সদস্য জানান, এই সামাজিক সংস্থার মূল উদ্দেশ্য কৃষকদের পেটে লাথি মারা নয়। যারা অবৈধভাবে গো পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হওয়া এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তবে শুক্রবার তেলিয়ামুড়া হাট বারের দিনে এ ধরনের ঘটনায় গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে।