যন্তর মন্তরে ‘শক্তি প্রদর্শন’ বিরোধীদের, রাহুল বললেন কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে

নয়াদিল্লি, ৬ আগস্ট (হি.স.): সংসদের অভ্যন্তরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছিলেন বিরোধীরা। এবার সংসদের বাইরেও দলবদ্ধ হয়ে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সুর ছড়ালেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। দিল্লির যন্তর মন্তরে কৃষকদের আন্দোলনে (কৃষকদের সংসদ) যোগ দিল কংগ্রেস-সহ ১৪টি বিরোধী দল। ‘শক্তি প্রদর্শন’ বলাই চলে, যদিও আম আদমি পার্টি, তৃণমূল ও বহুজন সমাজ পার্টি বিরোধীদের এই ‘শক্তি প্রদর্শনে যোগ দেয়নি।

শুক্রবার লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর, সংসদের ১ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ বিভিন্ন বিরোধী (আম আদমি পার্টি, তৃণমূল ও বহুজন সমাজ পার্টি যোগ দেয়নি) দলের নেতারা। তারপর সংসদ থেকে বেরিয়ে যন্তর মন্তরে যাওয়ার জন্য রাকাবগঞ্জ গুরুদ্বারের কাছে বাসে ওঠেন বিরোধী নেতারা। বাসে চেপে যন্তর মন্তরে যাওয়ার সময় কৃষি আইন ও পেগাসাস নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ওই বাসে কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, অম্বিকা সোনি, গৌরব গগৈ, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, আরজেডি-র মনোজ ঝা, ডিএমকে-র টি শিবা ও অন্যান্যরা ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস পৌঁছে যায় যন্তর মন্তরে।

যন্তর মন্তরে পৌঁছনোর পর কৃষি আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সঞ্জয় রাউত, শশী থারুর, অধীর চৌধুরী-সহ সমস্ত বিরোধী নেতারা। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন, “কৃষকদের বাঁচাও, দেশকে বাঁচাও।” রাহুল গান্ধী এদিন বলেছেন, “কালা কানুনের (কৃষি আইন) বিরুদ্ধে নিজেদের সমর্থন জানাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা এখানে (যন্তর মন্তর) জড়ো হয়েছেন। আমরা পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চাই। কিন্তু, তাঁরা আলোচনা হতে দিচ্ছেন না।”

এদিকে, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যন্তর মন্তরে কৃষকদের সমবেত হওয়াকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, “বিরোধীরা যদি সত্যিই কৃষকদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে সংসদের উভয়কক্ষে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সরকার। বিরোধীরা কথা বলতে প্রস্তুত নয় কেন? এটাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, তাঁরা শুধু সংবাদ মাধ্যমেই থাকতে চান।”