স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার বিবরণ জানিয়ে থানায় দ্বারস্থ হলো প্রথম পক্ষের স্ত্রী সহ তার পরিবারের লোকজন। ঘটনা সোনামুড়া থানাধীন বড়দোয়াল এলাকায়। জানা যায়, সাত বছর পূর্বে মুসলিম রীতিনীতি মেনে বড়দোওয়ালের বাসিন্দা ফজলুল হকের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে বিয়ে হয়েছিল বাশপুকুর এলাকার আফিয়া খাতুনের মেয়ে রাবেয়া খাতুনের । বিয়ের পর এক বছর সব ঠিকঠাক থাকলেও তারপর থেকেই গৃহবধূর উপর বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু হয়়।
এমনটাই অভিযোগ করলেন খোদ রাবিয়া সহ তার মা আছিয়া খাতুন। এরপর বিভিন্ন সালিশি সভা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষমেষ থানায় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। তাতেও সুবিচার মিলেনি। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাবিয়ার পরিবার। আদালত থেকে তাদের একসঙ্গে থাকার আদেশ দেয়া হয় ।এরই মধ্যে তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর পর থেকেই পুনরায় শুরু হয় উৎপীড়ন।অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয় রাবিয়া। আদালত থেকে রাবিয়ার কন্যা সন্তানের ভরণপোষণ দিতে বলা হয় ফারুককেে। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করেই চলেছে ফারুক । প্রথম পক্ষের স্ত্রী-সন্তানকে ভরণপোষণ দেওয়ার বদলে বরং বর্তমানে ফারুক নাকি দ্বিতীয় বিয়ে করে নিয়েছে ।
তারা ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে কিভাবে করল ফারুক।এই অভিযোগ করে রাবিয়ার পরিবার সোনামুড়া থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এখন দেখার পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।