নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২২ জুলাই।। তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক এর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালে পরিষেবা না দিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক সরকারি আবাসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন বলে অভিযোগ। সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিক সরকারি আবাসে মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন অর্থের বিনিময়ে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের অধীনে ২৩ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।
বৃহস্পতিবার তেলিয়ামুড়ার কয়েকটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি তালা বন্ধ অবস্থায় আছে। যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিছুদিন পরপর পরিদর্শন করার কথা। এক্ষেত্রে তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মা কোনো উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে যান না বলে অভিযোগ। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি পরিদর্শন না করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মা নিজ সরকারি আবাসে বসে দিব্যি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে যাচ্ছেন ।
মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সরকারি আবাসে রোগী ধরার দালাল চক্রের এক পান্ডাকে বসিয়ে রেখেছেন চিকিৎসকের পছন্দের এক প্যাথলজি ও ঔষধের দোকানে রোগী পাঠানোর জন্য। এদিকে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি যে পরিদর্শনে যান না এবিষয়ে এক আশা কর্মী স্পষ্টভাবে জানান, মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সাব সেন্টার গুলিতে পরিদর্শনে যান না। তিনি স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির খবরা-খবর নেন । এ প্রসঙ্গে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিনিয়তই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি পরিদর্শনে যান তিনি। অথচ বৃহস্পতিবার করইলং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ত্রিশাবাড়ি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা যায় দুটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রই তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। দুইটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজে যাননি কোনো এক অজ্ঞাত কারণে। তবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা কিংবা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গুলোর চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়লেও দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক কোন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।