নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২১ জুলাই।। বুধবার সকালে কুরবানী ঈদের দিনে গরু জবাই করাকে কেন্দ্র করে তেলিয়ামুড়ার চাকমাঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জারুইলং পাড়ায় জনজাতি ও সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বুধবার সকালে সংখ্যালঘু মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ঈদ উৎসব উপলক্ষে গবাদি পশু কোরবানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজাতি জনগণ এবং সংখ্যালঘু মুসলিম জনগণের মধ্যে তীব্র মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়।উপজাতি জনগণ গরু জবাই দেওয়ার কাজে বাধা দেয়।
বাঁধা দানকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন চাকমাঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জারুইলং পাড়া এলাকায়। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায়, বুধবার কুরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে জারুইলং এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনেরা গরু কাঁটার জন্য প্রস্তুতি নেয় ।
এদিন সকালে খবর পেয়ে জনজাতি অংশের লোকজনেরা গরু কাটতে আপত্তি জানায়। এতে মুসলিম সম্প্রদায় এবং উপজাতিদের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা দেখা দেয় ।খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার এস.আই প্রীতম দত্ত টি.এস.আর জওয়ানদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ছুটে আসেন চাকমা ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েতের সদস্যরা, স্থানীয় বাসিন্দা চান মিয়া সহ অন্যান্যরা। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের উপস্থিতিতে ২০ পরিবার মুসলিম এবং ১২ পরিবার জনজাতি অংশের লোকজনেরা সিদ্ধান্ত নেয় এ বছর গরু কাঁটা হবে।
কিন্তু এরপর থেকে গরু জবাই করা হবে অন্য কোনো স্থানে। তবে এলাকার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, কোন এক রাজনৈতিক দলের উস্কানিতে এমনটা উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয় শান্তিকামী জনগণ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।