আগরতলা, ৮ জুলাই : পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মেমোরেন্ডাম দিতে গিয়ে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে ত্রিপুরা প্রদেশ এনএসইউআই সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পর্ষদ সভাপতি এ-ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিন এনএসইউআই সহ-সভাপতি সম্রাট বাবু পর্ষদে মেমোরেন্ডাম জমা দেওয়ার পূর্বে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে রেগুলার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা বাতিল করা হলেও কন্টিনিউ, এক্সটার্নাল, কম্পার্মেন্ট ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে হবে। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, করোনা প্রকোপে চারিদিকে ভয়াবহ অবস্থা, অথচ ছাত্রছাত্রীদের জীবন ঝুকিতে ফেলে ত্রিপুরা সরকার পরীক্ষার আয়োজন করছে। তাই, ওই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে মেমোরেন্ডাম দিতে এসেছি আমরা। তাঁর হুশিয়ারী, পরীক্ষা বাতিল না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
কিন্ত, মেমোরেন্ডাম জমা দিতে গিয়ে এনএসইউআই কর্মীরা রীতিমত পর্ষদ সভাপতিকে হেনস্থা করেছেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে আশঙ্কায় তাদের পর্ষদ ভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত তারা বলপূর্বক ভেতরে যান এবং পর্ষদ সভাপতির সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি, এনএসইউআই সহ-সভাপতি সম্রাট রায় পর্ষদ সভাপতিকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজও করেন। এ-ধরনের আচরণে উপস্থিত সকলেই হতভম্ব হয়ে পরেন। অবশ্য, যথেষ্ঠ ঠান্ডা মাথায় সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন ড. ভবতোষ সাহা।
এ-বিষয়ে তিনি বলেন, গতকাল রাতে টেলিফোনে আজ মেমোরেন্ডাম দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন সম্রাট বাবু। কিন্ত, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে আশঙ্কায় তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্ত, আজ তারা কয়েকজন বিনা অনুমতিতে এসে মেমোরেন্ডাম দিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, চরম দুর্ব্যবহার করেছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমার জীবদ্দশায় এধরনের আচরণের মুখোমুখি হয়নি কখনো।