নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুন৷৷ রবিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে গণপিটুনি ও পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷ তার কয়েক ঘণ্টা পরেই কৃষ্ণ নগরে বিজেপির প্রদেশ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি বিধায়ক রতন চক্রবর্তী ও মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য৷
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই বিধায়ক রতন চক্রবর্তী বলেন, যে বাম আমলে রাজ্যের বহু জায়গায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে৷ তাই এটা অনেকটা ভুতের মুখে রাম নামের মতো৷ খোয়াই থেকে শুরু করে আমতলি, খয়েরপুর বিভিন্ন জায়গায় গণপিটুনিতে খুন হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পর্যন্ত৷ বিধায়ক, এসডিএম পর্যন্ত খুন হয়েছেন৷ তখন মানিক বাবুর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি৷ তাঁর দম্ভে এতটুকু চির ধরেনি৷’
নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ’তেলিয়ামুড়ায় বিরোধী দলের প্রার্থীকে ধর্ষণ করে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল বাম আমলে৷ বিলোনিয়ায় গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে মারা হয়েছিল৷ তাই বর্তমান বিরোধী দলনেতা তথা তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কোনও অধিকার নেই এই বিষয় নিয়ে বর্তমান সরকারকে প্রশ্ণ করার৷ বর্তমান সরকার যেখানেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে সেখানেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে৷’
সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য আরও বলেন, গণপিটুনির সংসৃকতি কমিউনিস্টদের আমদানি করা অপসংসৃকতি৷ সাধু হত্যা থেকে শুরু করে সারা দেশে যতগুলি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে কমিউনিস্টরা কোনও না কোনও ভাবে জড়িত রয়েছে৷ বিজেপির বক্তব্য, নতুন করে রাজ্য রক্ত ঝরানোর রাজনীতি করতে চাইছে সিপিএম৷ অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে৷

