লন্ডন, ২৫ জুন (হি.স.) : ইউরো ২০২০-তে আরও এক মহারণের অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব। আগামী ২৯ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোয় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি জার্মানি।
বিশ্বফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী এই দুই দেশের দ্বৈরথ শুধু ফুটবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এই লড়াই মর্যাদার, আবেগের। ইংল্যান্ড ফুটবল দলের প্রসঙ্গ উঠলেই জার্মানরা যেমন ভুলতে পারেন না ১৯৬৬ বিশ্বকাপের সেই ফাইনাল।
৫৫ বছর আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের জেফ হার্স্টের শট ক্রসবারে লেগে নীচে পড়ে বেরিয়ে এসেছিল। জার্মানির দাবি ছিল, বল গোললাইন পেরিয়ে যায়নি। কিন্তু সহকারীর সঙ্গে আলোচনা করে রেফারি গোলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের শট ক্রসবারে লেগে নীচে পড়ে গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। টেলিভিশন রিপ্লে-তে পরিষ্কার তা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু লাইন্সম্যান গোল বাতিল করেন। সেই সময় ইংল্যান্ড ১-২ পিছিয়ে ছিল। ম্যাচ জার্মানি ৪-১ জিতলেও ইংল্যান্ডের ফুটবলার থেকে সাধারণ সমর্থক- এখনও মনে করেন, অন্যায্য ভাবে ল্যাম্পার্ডের গোল বাতিল না হলে তাঁরা ম্যাচটা জিততেন!
আগামী বুধবার রাতে শেষ ষোলোর লড়াইয়ের আগে জার্মানির কোচ ওয়াকিম লো হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দেন, আগামী সপ্তাহে ওয়েম্বলিতে অন্য ধাঁচের জার্মানির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ইংল্যান্ডকে। তিনি বলেন, “আসল কথাটা হল আমরা পরের রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছি। খেলতে হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং আগামীকাল থেকে সেই ম্যাচ নিয়েই শুরু হবে চিন্তাভাবনা।” প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকা বলেছেন, “আমি আশাবাদী, জার্মানির বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড ভাল ফল করবে। এবার ইংল্যান্ড দলকে অনেক বেশি লক্ষ্যে স্থির দেখাচ্ছে।” এক ধাপ এগিয়ে আর এক প্রাক্তন তারকা ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড জানিয়েছেন, নিভৃতবাস পর্ব শেষ হলে জার্মানি ম্যাচে কোচ গ্যারি সাউথগেটের ফেরানো উচিত মেসন মাউন্টকে। তাঁর ক্ষুরধার বুদ্ধি চাপে রাখবে।
এদিকে জার্মানি শিবিরে অস্বস্তি রয়েছে থোমাস মুলারকে নিয়ে। চোটের কারণে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে তিনি খেলেননি। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে মুলারকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে।