চাক্কা জ্যাম আন্দোলন দ্বিতীয় দিন অতিক্রান্ত, রাজ্যে এলপিজির সংকটের সম্ভাবনা প্রবল

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২২ জুন৷৷ এলপিজি বুলেট গাড়ি চালকদের চরম হয়রানির অভিযোগ এনে অনির্দিষ্টকালের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির আজ দুই দিন অতিক্রান্ত৷ চালকদের অভিযোগ রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়ি পরিবহন দপ্তরে বিরুদ্ধে৷অসম ত্রিপুরা সীমান্তের বিশ নম্বর এলাকায় এই কর্মসূচি৷নর্দান ডিআইজি ও উত্তর জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতিবাদ সলে চুরাইবাড়ি থানার ইনচার্জ৷চালকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক৷আজ রাতেই চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি প্রত্যাহারের সম্ভাবনা৷


ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,গত ৯ জুন রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷চুরাইবাড়িতে এসে রাজস্ব মার খাওয়া সহ সিন্ডিকেট রাজ দমনে কঠোর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন বহিঃ রাজ্য থেকে আসা সকল ধরনের গাড়িগুলি একত্রিত ভাবে পরিমাপ করে রাজ্যে প্রবেশ করবে৷আর তাতে এলপিজি বুলেট গাড়িও পণ্যবাহী গাড়ির সাথে পরিমাপ করে রাজ্যে প্রবেশ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও পূর্বে এলপিজি বুলেট গাড়ি আলাদাভাবে রাজ্যে প্রবেশ করত,পরিমাপ না করেই রাজ্যে প্রবেশ করতো৷ কিন্তু বর্তমানে বুলেট গাড়ি গুলি প্রবেশের ক্ষেত্রে এলপিজি বুলেট গাড়ির চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে তাদের অভিযোগ৷অবশেষে গতকাল সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চাক্কা জ্যাম করে বসলো এলপিজি বুলেট গাড়ির চালকরা৷


অসম ত্রিপুরা সীমান্তের বিশ নম্বর এলাকায় প্রায় একশতো এলপিজি বুলেট গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয় চালকরা৷ চালকদে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বিল্পব কুমার দেবের চুরাইবাড়ি চেকপোস্ট সফরের পর সকল গাড়িগুলি একত্রিতভাবে প্রবেশের ক্ষেত্রে এলপিজির বুলেট গাড়ি চালকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন৷ কেননা উনারা বুলেট গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে কমপক্ষেও ২/৩ দিন সময় লাগছে৷আর তাতে খাদ্য সামগ্রী, পানীয় জল ও লেট্রিন বাথরুমের কারনে চালকদের অবস্থা একপ্রকার নাজেহাল৷পাশাপাশি বুলেট গাড়ির চালকরা বলেন,চুরাইবাড়ি চেকপোষ্ট হলো অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি জায়গা৷ সেইক্ষেত্রে চুরাইবাড়িতে প্রবেশ না করে অসম ত্রিপুরা সীমান্তের বিশ নম্বর এলাকার নির্জন স্থানে তাদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করছেন৷চালকরা আরো বলেন, পূর্বের মতো এলপিজির বুলেট গাড়ি গুলি আলাদাভাবে রাজ্যে প্রবেশের বন্দোবস্ত করুক সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও রাজ্য সরকার৷অন্যতায় চাক্কা জ্যাম অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে৷


এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আজ চুরাইবাড়ি চেকপোস্টে ছুটে আছেন নর্দান ডিআইজি এল এম ডার্লং, উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী৷উনারা চুরাইবাড়ি চেকপোস্টে পরিদর্শন করে ছুটে যান চুরাইবাড়ি থানায়৷ সেখানে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর চুরাইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দাসকে নির্দেশ দেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য,এমনটা সূত্রের খবর৷ পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর ওসি জয়ন্ত দাস অসম ত্রিপুরা সীমান্তের বিশ নম্বর এলাকায় প্রতিবাদকারী চালকদের কাছে ছুটে যান৷অকুসূ গিয়ে চালকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন৷তবে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, সর্বশক্তি লাগিয়ে ও চালকদের দাবি দাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে বুলেট গাড়ির চালকদের অনির্দিষ্টকালের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি প্রত্যাহার করাবে পুলিশ প্রশাসন৷অন্যথায় গোটা রাজ্যে তীব্র জ্বালানি গ্যাসের সংকট দেখা দেবে৷