হাইকোর্টে স্থগিত নারদ মামলার শুনানি

কলকাতা, ২১ জুন (হি.স.) : সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে নারদ মামলার শুনানি হল না। সোমবারই আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে শুনানি শুরু হয়। তা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। সেই কারণেই সোমবার নারদ মামলার শুনানি বন্ধ রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে জানা হয়। মামলার  পরবর্তী শুনানি কবে হবে, তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মামলায় প্রভাব খাটাতে পারেন অভিযোগ তুলে নারদ মামলাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মমতা, কল্যাণ এবং মলয়কে মামলায় তিনটি পক্ষ করেছেও তারা। কিন্তু হাই কোর্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটকের জবাবি হলফনামা গ্রহণ করেনি। সেই নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মলয়বাবু। নারদ মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আর্জি জানান।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে মলয়বাবুর আবেদনের শুনানি রয়েছে। তার জেরেই হাই কোর্টে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত কী বলে, সেই অনুযায়ীই এগোবে হাই কোর্ট।

গত ১৭ মে নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার পরই সেখানে হাজির হন তৃণমূলনেত্রী স্বয়ং। তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি জানান। পরে সেখানে পৌঁছন কল্যাণবাবু এবং মলয়বাবুও।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ধরনায় বসেন। অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যাওয়ায় বাধা দেন। কল্যাণবাবু এবং মলয়বাবু সমর্থকদের জড়ো করে পরিস্থিতি তাতিয়ে তোলেন। পরিবেশ সন্ত্রস্ত করে তোলেন। মামলায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *