রাজ্যে বিজেপিতে কোন বিভেদ নেই : সুব্রত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুন৷৷ ত্রিপুরায় বিজেপিতে কোন বিভেদ নেই৷ আজ সাংবাদিক সম্মেলনে দৃঢ়তার সাথে একথা বলেন প্রদেশ বিজেপি প্রধান মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী৷ তাঁর কথায়, বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের ডাকা বৈঠকে সকলেই অংশ নিয়েছেন৷ ত্রিপুরায় সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেছেন৷ তাতে প্রমাণিত হয়েছে সকলে একত্রে রয়েছেন৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় পাহাড়ে দলের শক্তি একই রয়েছে৷ জনজাতি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠিকই৷ কিন্ত, গণতন্ত্রের রক্ষায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজেপি প্রশাসনের উপরই নির্ভরশীল৷


এদিন তিনি বলেন, বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ ত্রিপুরাউ দুই দিনের সফরে এসে সাংগঠনিক বিষয়ে খোজ খবর নিয়েছেন৷ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের দীশা নির্দেশ করেছেন৷ পাশাপাশি সরকার পরিচালনায় দল আরও কিভাবে ভূমিকা রাখবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে গেছেন৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী৷ তাকে আরও কিভাবে সুসংহত করা যায় সেবিষয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্দেশ দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, দুই দিনে দলীয় সাংগঠনিক বিষয়ে ইতিবাচক এবং সদর্থক আলোচনা হয়েছে৷ দল পরিচালনায় ন্যুনতম ত্রুটি-বিচ্যুতি না থাকে সেদিকে সতর্ক করেছেন সংগঠন মন্ত্রী৷


সুব্রতবাবু বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপিতে কোন বিভেদ নেই৷ প্রত্যেকেই এক পরিবারের সদস্য হিসেবে রয়েছি আমরা৷ তাঁর বক্তব্য, এক পরিবারে থাকতে গেলে মতের অমিল হওয়া অস্বাভাবিক নয়৷ কিন্ত, সেই সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব হয়েছে৷ তাঁর সাফ কথা, আমরা সকলে একত্রে রয়েছি তাই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ডাকে প্রত্যেকে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন৷ মত বিনিময় করেছেন৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় বিজেপির পরিবার অনেক বড় হয়েছে৷ অতীতের তুলনায় ব্যাপ্তি অনেক বেড়েছে৷ ফলে, যারা দলছুট হয়েছেন তাদের অনুরোধ ফিরে আসুন৷ নিজের দল ভেবে পুণরায় যোগ দিন৷ তিনি বলেন, বিজেপি আত্মিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কাজ করে৷ তাই, নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে নতুন ও পুরনো প্রত্যেকেই বিজেপির অমূল্য সম্পদ৷


এদিন তিনি সাফ জানিয়েছেন, এডিসি নির্বাচনের পর পাহাড়ে বিজেপির সগঠন দুর্বল হয়ে যায়নি৷ বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আক্রমনের শিকার হয়েও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে না বিজেপি৷ তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা করাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য৷ তাই, শাসক দল হয়েও আক্রান্ত হলে বিচারের জন্য আমরা প্রশাসনের উপরই নির্ভরশীল৷ তাঁর হুশিয়ারী, যারা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, মনে রাখবেন বিজেপি-কে কোনভাবেই আটকানো যাবে না৷

এদিকে, আজ তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ত্রিপুরায় ইতিপূর্বে দুইবার তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল৷ কিন্ত, ব্যর্থ হয়েছে৷ তাঁর কথায়, কোন দল আসবে, কোন দল যাবে, সেবিষয়ে বিজেপি মোটেও চিন্তিত নয়৷ অন্তত গণতন্ত্রে এবিষয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়৷ তবে, ইতিপূর্বে প্রমাণিত হয়েছে, ত্রিপুরার মানুষ বহিরাগত আঞ্চলিক দলকে গ্রহণ করেননি৷