নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুন৷৷ বুধবার দুদিনের রাজ্য সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বোম্বরাবেট্টূর লক্ষ্মী জনার্দন সন্তোষ এর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল৷ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা ত্রিপুরার প্রভারি বিনোদন সোনাকর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাধারন সম্পাদক জাম্বাল এবং আসাম ও ত্রিপুরার সাংগঠনিক মন্ত্রী ফণীন্দ্রনাথ শর্মা৷ বুধবার সকাল ১০টা৫০ মিনিটের বিমানে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব৷
মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান দলীয় চক্রবর্তী৷ রাজ্যে পৌছেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য কার্যালয়ে অফিসা বেয়ারারদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন৷ বৈঠকে সমস্ত মোর্চার প্রদেশ সভাপতি এবং জেলা সভাপতিদেরকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পৃথকভাবে রাজ্যের দুই সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক , রেবতী ত্রিপুরা, উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ দলীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে ,রাজ্যের চারজন মন্ত্রী রতন লাল নাথ, প্রণজিত সিংহ রায় ,মনোজ কান্তি দেব এবং সান্তনা চাকমা সঙ্গে দলীয় কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করবেন৷
তারপর অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বৈঠক করবেন৷ দিল্লির নির্দেশে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদেরকেও যথারীতি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷কোন বিধায়ককে কোন সময় মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হবে তার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে৷বিধায়কদের সঙ্গে গ্রুপ মিটিং শেষে সমস্ত বিধায়কদের একসঙ্গে করে পুনরায় বৈঠক হবে বলে জানা গেছে৷ বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটির দুই মন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা এবং মেবার কুমার জমাতিয়া সহ তাদের অন্যান্য নেতৃত্বদের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বৈঠক করবেন৷রাত আটটায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সেখানেই ডিনার হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে৷
দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজেপি রাজ্য কার্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী উপমুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ৷ রাজ্য অতিথিশালায় সর্বশেষ বৈঠক হবে৷বিজেপি প্রদেশ সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা সহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বৃহস্পতিবার বিকেলেই তারা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন৷ দিল্লি ফিরে গিয়ে তারা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন৷
ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ত্রিপুরা শহর এবং বিস্তারিত পর্যালোচনা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল৷ উল্লেখ্য ইতিপূর্বে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে৷ এদিকে দলের একাংশ দল ছেড়ে অন্যান্য দলে যোগ দিতে শুরু করেছে৷ সার্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাজ্যসফর৷ স্বাভাবিক কারণেই এই সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ রাজ্যে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ সহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে অনেকেই ধারণা করছেন৷ তবে সবকিছুই নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর৷