নয়াদিল্লি, ৭ জুন (হি.স.): আঠারোর উর্ধ্বে সমগ্র দেশবাসীকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেবে কেন্দ্র সরকার। সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে করোনার টিকাকরণ নিয়ে একথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এবার থেকে টিকাকরণের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে আর কোনও অর্থ ব্যয় করতে হবে না। ২১ জুন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্ব সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেবে ভারত সরকার।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, টিকা প্রস্তুতকারকদের থেকে ৭৫ শতাংশ টিকা কিনবে কেন্দ্র। বাকি ২৫ শতাংশ কিনতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে টিকা দেবে কেন্দ্র। ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলে বিনামূল্যে টিকা পাবেন। ২১ জুন থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেবে ভারত সরকার। মোদী আরও বলেন, সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা বাচ্চাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তা নিয়ে দুটি টিকার কাজ চলছে। এছাড়া মোদী জানান, প্রতিটি ডোজের যা নির্ধারিত দাম থাকবে, তাতে সর্বাধিক ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ বসানো যাবে।
টিকার অভাব নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রকে তোপ দাগছিল রাজ্যগুলি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাজ্যগুলিকে ঠুকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যের থেকে বিভিন্ন রকমের দাবি করা হচ্ছিল টিকাকরণ নিয়ে। কেন লকডাউনের ক্ষমতা রাজ্যের হাতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল।’ মোদী বুঝিয়ে দেন, রাজ্যগুলির দাবির ভিত্তিতেই কেন্দ্র ধীরে ধীরে টিকাকরণের দায়িত্ব ছেড়ে দেয় রাজ্যগুলির হাতে।
সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এ বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকাকরণ মূলত কেন্দ্রের হাতেই ছিল। দেশ বিনামূল্যে টিকাকরণের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু তারপর অনেক রাজ্য টিকাকরণের ভার নিজেদের হাতে চাইছিল। স্বাস্থ্য যেহেতু মূলত রাজ্যের ব্যাপার, তাই ভারত সরকার রাজ্যগুলির উপর টিকাকরণের ভার ছেড়েছিল। ভারত সরকার গাইডলাইন তৈরি করেছিল, যাতে রাজ্য সরকারগুলি নিজেদের মতো ব্যবস্থা করতে পারে। ১মে থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে ২৫ শতাংশ করে টিকা দেওয়া শুরু হল। মে মাসের দুসপ্তাহের মধ্যেই অনেক রাজ্য সরকার বুঝতে পারে, আগের ব্যবস্থাই ভাল ছিল। অনেক রাজ্য সরকারের টিকা দানে সমস্যা হচ্ছিল। সেই সমস্যা মেটাতেই কেন্দ্র আগের মত সব নাগরিকের টিকাকরণের দায়িত্ব নিল। ১৮ বছরের উর্ধ্বে সমগ্র দেশবাসীকে টিকাকরণের আওতায় আনা হল। তবে, কেউ চাইলে বেসরকারি হাসপাতালেও টিকা নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে, বেসরকারি হাসপাতাল ভ্যাকসিনের দামের উপর সর্বোচ্চ দেড়শো টাকা সার্ভিস ট্যাক্স নিতে পারবে। এটা দেখাশোনার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।