বন্ধ হাসপাতাল, হচ্ছে না করোনার টিকাকরণ, ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৭ মে৷৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমনের গ্রাফ ঊর্ধমুখী, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে মৃত্যুর সংখ্যা ও৷ প্রথম অবস্থায় করুণা সংক্রমণ রোধে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ করুণা কারফিউ আগরতলা পৌর নিগমের পরে সারা রাজ্যে হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ৷ রাজ্য সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে আরো কঠোর করা হয়েছে করুণা বিধি৷


২৬ মে থেকে আগরতলা পুর নিগম সহ রাজ্যের অন্য পুর ও নগর এলাকায় জারি হয়েছে করোণা কারফিউ৷ ২৭ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত কার্যকর করা হয়েছে রাজ্যের অন্য সমস্ত এলাকার করুণা কারফিউ৷ ২৫ মে রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ দিবারাত্রি মিলিয়ে মাত্র ছয়ঘণ্টা করোনা কারফিউর আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল মাছ-মাংস, সবজি ওষুধের দোকান৷বেলা বারোটার পর বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাভিত্তিক যাতায়াত ব্যবস্থা ও৷


এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে গোটা দেশে মহামারী ঘোষণা করেছে ভারত সরকার৷ কয়েকদিন পরপর জারি করা হচ্ছে নতুন নির্দেশিকা৷ করোণা রোধে আইন যতোই কঠোর করা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে ততোই ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের৷এবার প্রশ্ণ হল করোণা রোধে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অবশ করে দিয়ে নতুন আইন জারি করে সাধারণের রোজগার ব্যবস্থা পঙ্গু করা হয়েছে সেখানে গত দেড় মাস ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে একটি হাসপাতাল সেটি বিশালগড় মহাকুমার গোকুলনগর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র৷


মুখ থুবরে পড়েছে চিকিৎসা পরিষেবা৷ সাপ্তাহিক শুক্রবার বন্ধ থাকার কথা থাকলেও মাসের-পর-মাস তালাবদ্ধ অবস্থায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি৷ দেখা নেই কোন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরও৷হন্যো হয়ে ঘুরছে এলাকার মানুষ কোনো অসুখ হলে ছুটে যেতে হয় বিশালগড় মহাকুমা হাসপাতাল কিংবা হাঁপানিয়া হাসপাতালে৷ স্থানীয়রা দ্রুত হাসপাতালে খোলার দাবি জানিয়েছেন৷