কলকাতা,২৭ মে (হি.স.): পশ্চিমবঙ্গে এখনই শেষ হচ্ছে না কার্যত লকডাউন । রাজ্যে ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ল কড়া বিধি-নিষেধের সময়সীমা । পূর্ববর্তী বাধা-নিষেধের নিয়মই জারি থাকছে এ বারও । বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিধি-নিষেধের সময়সীমা আরও বাড়ানোর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা হানায় নাজেহাল রাজ্যবাসী। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছিল কার্যত লকডাউন। ৩০ মে পর্যন্ত ছিল লকডাউনের সময়সীমা। তবে এরই মাঝে রাজ্যে ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ল কড়া বিধিনিষেধ। করোনা আবহে রাজ্যের বিধিনিষেধের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে রাজ্যে। এখনকার নিয়মেই বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে। প্লিজ দয়া করে লকডাউন কিংবা কার্ফু বলবেন না। লকডাউন আলাদা আইন। বর্তমানের পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ জারি করছি। যার জেরে করোনা কিছুটা হলেও কমেছে। মানুষ সহযোগিতা করছে। তাই আমরা আর একটু সময় নিচ্ছি। এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেব। তবে অর্থনীতি সচল রাখতে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে সব চালু আছে। অনলাইন পরিষেবাও সচল। মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। যদিও চালু থাকবে পেট্রোল পাম্প, গাড়ি মেরামতির দোকান৷ তবে, পাটের বিভিন্ন সামগ্রী চাইছে পাঞ্জাব। তাঁরা বারবার অনুরোধ করছে। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে এবার পাটশিল্পে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে’ । পাটশিল্পে ৪০ শতাংশ উপস্থিতিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে নির্মাণ শিল্পে কাজ চালানো যাবে।
জেনে নিন কী কী বিধি রয়েছে—
• সব সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অফিস শুধু খোলা
• স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
• শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পা, পার্লার বন্ধ
• চিড়িয়াখানা, পার্ক বন্ধ থাকবে।
• মেট্রো, বাস, লোকাল ট্রেন বন্ধ
• বাজার, মুদির দোকান সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা
• মিষ্টির দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা
• ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো
• জামা, কাপড়, গয়নার দোকান দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলা
• ব্যক্তিগত গাড়ি, অটো, টোটো চালানো যাবে না
• বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জন উপস্থিতি থাকতে পারবেন
• সৎকারে ২০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন
• ওষুধের দোকান, চশমার দোকান সারা দিন খোলা থাকবে
• ই কমার্স ও হোম ডেলিভারিতে ছাড়
• চা বাগানে ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ চলবে
• রাত ৯টার পর সব কিছু বন্ধ, কেবলমাত্র এমার্জেন্সির ক্ষেত্রে অনুমতি।