কলকাতা, ২৬ মে ( হি স): বুধবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আতঙ্কে ভুগছে রাজ্যবাসী। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কয়েকঘণ্টা তাণ্ডব চালানোর জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। তবে, ইয়াসের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে মঙ্গলবার রাতে নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন ইয়াসের জেরে যে সমস্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই সমস্ত এলাকা শুক্রবার পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতায় সেরকমভাবে ইয়াস প্রভাব না দেখালেও সুন্দরবন, দীঘা উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রভাব বিস্তার করেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। এই প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ ‘১৫লক্ষ ৪ হাজার ৫০৬ জনকে সরানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও প্রায় এক কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৩ লক্ষ বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ১৩৪ বাঁধ ভেঙেছে। নোনা জলের কারণে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাছেরও ক্ষতি হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে ১০ লক্ষ ত্রিপল পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১০ কোটি চাল ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে ওঠার পরও ১ ব্যক্তি মাছের জন্য জাল ফেলতে গিয়েছিলেন। জলে ডুবে গিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালি নামখানা পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, ক্যানিং ১ ও ২, বজবজ, দিঘা, শংকরপুর তাজপুর, রামনগর, কাঁথি, নন্দীগ্রাম, সুতাহাটা, দেশপ্রাণ, কোলাঘাট, শ্যামপুর, এদিকে কালীঘাট, চেতলা রাসবিহারী-সহ গঙ্গার সামনের বহু এালাকা জলে প্লাবিত হয়েছে। আগামিকাল ও দুর্যোগ থাকবে। তাই প্রত্যেকে ঘরে থাকুন। যারা নদী বা সমুদ্রের পাশে থাকেন, তারা সতর্ক থাকুন। আগামী শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাব’।