আগরতলা, ২৫ মে (হি.স.) : ত্রিপুরায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ফের বৃদ্ধি হওয়ায় অধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রিপুরায় ১০,২৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ৭৭৩ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে। দৈনিক আক্রান্তের হার বেড়ে হয়েছে ৭.৫৩ শতাংশ। এদিকে, ফের তিনজনের মৃত্যু ত্রিপুরায় করোনাকালে চিন্তা রীতিমতো বাড়িয়েই চলেছে। কারণ, প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের মৃত্যুর খবরে উদ্বিগ্ন গোটা রাজ্য। অবশ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৫ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তিও পেয়েছেন। এক্ষেত্রে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। তবে চিন্তা এখনও বাড়িয়ে রেখেছে, নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭১ জন শুধু পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় অবস্থান করছেন। ফলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা আবারও সংক্রমণে শীর্ষস্থানে রয়েছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৭,৩৩৪ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআর ১২২৫ এবং র্যা পিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৯০৪২ জনকে নিয়ে মোট ১০,২৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআরে ৮৮ জন এবং র্যা২পিড অ্যান্টিজেনে ৬৮৫ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭৭৩ জন নতুন করোনা সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া গেছে।
তবে সামান্য স্বস্তির খবরও রয়েছে। কারণ দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৫ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাতে, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭,৩৩৪ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৪৭,২৯৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৯,৪৩১ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের হার বেড়ে হয়েছে ৫.৩৭ শতাংশ। তেমনি, সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৩.৪৭ শতাংশ। এদিকে মৃতের হার ০.৯৯ শতাংশ। নতুন করে তিনজনের মৃত্যুর ফলে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৪৭০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, ক্রমাগত পশ্চিম জেলা সংক্রমণে শীর্ষে থাকছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ৩৭১ জন, দক্ষিণ জেলায় ৭৯ জন, গোমতি জেলায় ৪৯ জন, ধলাই জেলায় ৩৩ জন, সিপাহিজলা জেলায় ৫৪ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৫৫ জন, উনকোটি জেলায় ৮৯ জন এবং খোয়াই জেলায় ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক জেলায় করোনার সংক্রমণ অতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।