নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ মে৷৷ করোনা হোক কিংবা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, সমস্ত ঝড় মোকাবিলায় ত্রিপুরা সরকার প্রস্তুত৷ করোনা-র প্রথম ঢেউ মোকাবিলা করেছি, ত্রিপুরাবাসী যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন৷ আবারও আমরা একজোট হয়ে করোনা সহ সমস্ত কিছুকে পরাস্ত করব৷ আজ শনিবার দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে এ-কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ এই ঝড় মোকাবিলায় তিনি শুধু ত্রিপুরার আপামর জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে ঠিকই৷ কিন্তু তাতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই৷ ত্রিপুরা সরকার করোনা হোক কিংবা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ, প্রতিটি ক্ষেত্রে মোকাবিলায় সক্ষম৷ তাঁর কথায়, সংক্রমণ কী আসবে, কীভাবে আসবে তা সরকার নির্ণয় করতে পারে না৷ তবে ওই সব সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার৷
তাঁর দাবি, ত্রিপুরাবাসী করোনা-র প্রথম ঢেউ মোকাবিলা করেছেন৷ তা থেকে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পেরেছি৷ সেই অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে করোনা-র দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করব আমরা, বলেন তিনি৷ তবে এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতার ভীষণ প্রয়োজন৷ ত্রিপুরাবাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, করোনা মোকাবিলায় সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলুন৷ ত্রিপুরা সরকারকে সহযোগিতা করুন৷ করোনা-র বিরুদ্ধে আবারও যুদ্ধে জয়ী হব আমরা৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগকেও মহামারি ঘোষণা করেছে৷এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ শুক্রবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগকে মহামারি ঘোষণা করেছে এবং রাজ্যগুলিকেও এ-বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরা সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে৷ মহামারি আইনে এই রোগকে অন্তর্ভুক্ত করেছে৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত একজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ আগরতলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তিনি বলেন, ওই রোগ সাধারণত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর দেখা দিচ্ছে৷ বিশেষ করে, মধুমেহ, ক্যানসার, কিডনি রোগ, এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের জন্য ওই রোগ ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ৷ কারণ, তাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত কম থাকে৷

