বন্য হাতির তান্ডবে তেলিয়ামুড়া মহকুমার মানুষের নাভিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৬ মে৷৷ বন্য দাঁতাল হাতির দল লোকালয়ে এসে মানুষের জীবন সম্পত্তির হানি ঘটায় কোনো কোনো সময়৷ এতে গ্রামীণ এলাকার মানুষজনরা অতিষ্ট৷ মূলত বনাঞ্চল থেকে হাতির দল লোকালয়ে আসে পাকা ধান শস্যের সন্ধানে৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহাকুমার অধীনে কৃষ্ণপুর, মধ্য কৃষ্ণপুর, চামপ্লাই, উত্তর মহারানী, ঘিলাতলী এলাকাগুলোতে রাতের অন্ধকারে বন্যহাতি কৃষকদের ধান ক্ষেত সহ বাড়িঘর ভাঙচুর করে কোনো কোনো সময়৷


গত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ব্যাঙ্গালুর থেকে হাতি সার্ভে করার এক প্রতিনিধি দল এসেছিল তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের কার্যালয়ে৷ ওই প্রতিনিধি দলের সার্ভে অনুযায়ী ১৮ মুড়া পাহাড়ে প্রায় ২৩/২৪ টি বন্য হাতি রয়েছে৷ এর মধ্যে দাঁতাল হাতি চারটি এবং বাকিগুলি মাকনা হাতি৷ ছ.ঙ্গ..ঞ্জ কৃষ্ণ গোপাল রায় বলেন বর্তমানে বন্যহাতি গুলির বিচরণ রামকৃষ্ণপুর,৩৬ মাইল, মুঙ্গিয়াকামী সেন্ট্রাল নার্সারিরএকটা অংশ সহ এর আশপাশ এলাকাগুলি৷ এই বন্যহাতি গুলির জন্য তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর থেকে ২০১৯ সালে এবং ২০২০ সালে বড় জলাশয় তৈরি করেছে পাঁচটি এবং ছোট জলাশয় তৈরি করেছে চারটি৷ যাতে বন্য হাতি গুলি ওইসব জলাশয় এসে জলতেষ্টা নিবারণ করতে পারে বলে জানান ছ.ঙ্গ..ঞ্জ কৃষ্ণ গোপাল রায়৷


বনদপ্তর থেকে বন্যহাতি গুলির জন্য ১৯ হেক্টর জায়গায় কলা বাগান এবং ৯ হেক্টর জায়গায় মিশ্র ফলের বাগান করেছে খাদ্যের জন্য৷১৮ মুড়ার বনাঞ্চলের পর্যাপ্ত পরিমাণে হাতির খাদ্যও রয়েছে৷ এরপরেও হাতির দল লোকালয়ে আসে পাকা ধান শষ্য খাওয়ার জন্য৷ বনাঞ্চলের লাগোয়া স্থান গুলিতে কৃষকরা যদি ধান চাষ বন্ধ করে তবে বন্য হাতি লোকালয়ে আসা বন্ধ হবে বলে আশাবাদী ছ.ঙ্গ..ঞ্জ কৃষ্ণ গোপাল রায়৷


গত ২০১৮ সালের সেপ্ঢেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১৫ মে পর্যন্ত বন্যহাতির আক্রমণে পাঁচ জনের মৃত্যু হয় বিভিন্ন সময়ে৷ এই বন্য হাতির আক্রমণে নন ফরেস্ট ল্যান্ডে কোন মানুষের মৃত্যু হলে তদন্তক্রমে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়৷ তবে বন্য হাতি গুলি লোকালয়ে এসে যাতে মানুষের জীবন সম্পত্তির হানি ঘটাতে না পারে তার জন্য চামপ্লাইবাড়ী, কপালী টিলা, উত্তর মহারানী, মারাক বস্তি এলাকাগুলিতে বনকর্মীরা অস্থায়ীভাবে ক্যাম্প করে রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *