নয়াদিল্লি, ১৪ মে (হি.স.): কৃষিতে নতুন নতুন সমাধান ও নতুন নতুন বিকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্নদাতাদের আশ্বস্ত করে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে অন্নদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ” করোনার এই কঠিন সময়েও দেশের কৃষকরা আমাদের কৃষক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রেকর্ড পরিমানে শস্য উৎপাদন করেছেন।” শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পিএম-কিসান সম্মান নিধির অধীনে আর্থিক সুবিধার অষ্টম কিস্তি প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “অত্যন্ত কঠিন সময়ে আমরা এখন কথা বলছি। করোনার এই কঠিন সময়েও দেশের কৃষকরা আমাদের কৃষক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রেকর্ড পরিমানে শস্য উৎপাদন করেছেন। অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র এই পর্বে কৃষির নতুন চক্র সূচনার সময়, এই দিনই প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০ কোটি কৃষক এর ফলে উপকৃত হবেন।” এদিনই প্রথমবার কিসান সম্মান নিধির টাকা পেলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের লক্ষাধিক কৃষকদের কাছে প্রথম কিস্তি পৌঁছেছে। রাজ্যগুলি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কৃষকদের নাম যত আসবে, সুবিধাভোগী কৃষকদের সংখ্যাও ততই বাড়বে।”
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “এযাবৎ এই যোজনার অধীনে দেশের প্রায় ১১ কোটি কৃষকদের কাছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা পৌঁছেছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র করোনাকালেই ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি কৃষকদের কাছে পৌঁছেছে।” মোদী আরও বলেছেন, “এ বছর, এখনও পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি গম এমএসপি-তে কেনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গম কেনার লভ্যাংশ্যের ৫৮,০০০ কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে। আমি সন্তুষ্ট যে পঞ্জাব এবং হরিয়ানার লক্ষ লক্ষ কৃষক ডাইরেক্ট ট্রান্সফারের এই সুবিধার সঙ্গে যুক্ত আছেন। এখনও পর্যন্ত পঞ্জাবের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং হরিয়ানার কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা সরাসরি জমা পড়েছে।”
দেশের অন্নদাতাদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কৃষিতে নতুন সমাধান, নতুন বিকল্পের জন্য সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জৈব কৃষিতে উৎসাহ প্রদান এমনই একটি প্রচেষ্টা। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা ব্যাঙ্ক থেকে সস্তা ও সরল ঋণ যাতে পান, সেই চেষ্টাও করছে সরকার। এ জন্য বিগত দেড় বছর ধরে কিসান ক্রেডিট কার্ড উপলব্ধ করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। এই সময়ে ২ কোটিরও বেশি কিসান ক্রেডিট কার্ড জারি করা হয়েছে।” মোদী আরও জানান, “করোনাকালে বিশ্বের সবথেকে বড় বিনামূল্যে রেশনের যোজনা চালাচ্ছে ভারত। পিএম গরিব কল্যাণ অন্য যোজনার মাধ্যমে বিগত বছর ৮ মাস পর্যন্ত গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়েছিল। এবার মে ও জুনে দেশের ৮০ কোটির বেশি দেশবাসী রেশন পেয়েছেন।”
2021-05-14

