নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মে৷৷ পক্ষকালের মাথায় ফের বড়সড় সাফল্যম পেল করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধীন চুড়াইবাড়ি ওয়াচপোস্টের পুলিশ৷ অসম থেকে ত্রিপুরায় পাচারের মুখে চুড়াইবাড়ি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে প্রসাধনী ও ফলের জুস বোঝাই লরি থেকে প্রায় ৭০ লক্ষাধিক টাকার নেশা জাতীয় কফ সিরাপ ফেন্সিডিল৷ ওই অভিযানে লরি চালক ও সহচালকে আটক করা হয়েছে৷
এ ব্যাপারে চুড়াইবাড়ি পুলিশ ওয়াচপোস্টের ইনচার্জ মিন্টু শীল জানান, শুক্রবার রাত অনুমানিক ১২টা নাগাদ গুয়াহাটি থেকে ত্রিপুরার আগরতলাগামী এএস ০১ কেসি ৬১৫০ নম্বরের লরি চেক গেটে প্রবেশ করলে সন্দেহ হয় কর্তব্যারত পুলিশ কর্মীদের৷ লরিতে প্রসাধন সামগ্রী ও ফলের জুসের চালান খতিয়ে দেখলে পুলিশের সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয়৷ লরিতে তল্লাশি চালালে ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ১৪৪ কার্টুন অবৈধ ফেন্সিডিল৷ প্রতিটি কার্টুনে ১০০টি করে মোট ১৪ হাজার চারশো শিশি কফ সিরাপ ছিল৷ কোম্পানির মুদ্রণমূল্যে র হিসাবে বাজেয়াপ্তকৃত ফেন্সিডিলের বাজারমূল্যা ২৭ লক্ষ টাকার মতো হলেও কালোবাজারে এগুলির দাম প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হবে৷ মাদক সিরাপ পাচার কাণ্ডে ধৃত চালকের নাম সফিকুল ইসলাম (২৭)৷ তার বাবা নাম আব্দুল করিম৷ বাড়ি অসমের কামরূপ জেলার নাগেরবেরা এলাকার নাইতর গ্রামে৷ সহচালকের নাম মুমিন আলি (১৯), বাবার নাম সইদ আলি৷ বাড়ি একই এলাকায়৷
ধৃতরা পুলিশি জেরায় নাকি বলেছে, তারা সামগ্রীগুলো গুয়াহাটি থেকে সংগ্রহ করে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল৷ সেখান থেকে এ-সব নেশা সামগ্রী হাত বদল করে বাংলাদেশে পাচার হয়৷ সে দেশে ফেন্সিডিলের একটি শিশি প্রায় এক হাজার টাকা করে বিক্রি হয়৷ ধৃতদের বর্তমানে বাজারিছড়ায় আটকে রেখে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ আগামীকাল সামগ্রী সমেত করিমগঞ্জে সিজেএম আদালতে সোপর্দ করা হবে৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , গত প্রায় পক্ষকাল আগে অনুমরূপভাবে পুলিশি নাকা চেকিঙে চুড়াইবাড়ি পুলিশের হাতে ডিম ও প্লাস্টিক বোঝাই লরি থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার অবৈদ মেঘালয়ে তৈরি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল৷ ওই কাণ্ডেও গ্রেফতার করা হয়েছিল লরির চালক ও সহচালককে৷ এরা বর্তমানে করিমগঞ্জ জেল হাজতে রয়েথে৷