নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ মে৷৷ পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস ফের প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে রক্তাক্ত হল ত্রিপুরা৷ কংগ্রেস কর্মীদের অতর্কিত হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার দুই কর্মী৷ ওই ঘটনায় দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে৷ দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের ফলে পুলিশি লাঠিচার্জে আহত প্রায় পাঁচজন৷ খোয়াই জেলায় তেলিয়ামুড়া থানাধীন তেলিয়ামুড়া শহরে আজ বিকেলে আচমকাই দুই রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে গোটা এলাকা জুড়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি৷ এরই প্রতিবাদে তেলিয়ামুড়া থানার সামনে পথ অবরোধ করেন যুব মোর্চার কর্মীরা৷ তাতে, যোগ দিয়েছেন সরকারি মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়৷
আজ তেলিয়ামুড়া যুব মোর্চার দুই একনিষ্ঠ কর্মী তথা অজয় দাস এবং প্রণয় ভৌমিক প্রতিদিনের মতো তেলিয়ামুড়া শহরে নিজেদের কাজকর্ম করার জন্য আসেন৷ অভিযোগ যুব মোর্চার ওই দুই কর্মীর উপর কিছু সংখ্যক কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা চড়াও হন এবং মারধর করেন৷ পরে প্রাণ রক্ষায় তেলিয়ামুড়া মন্ডল কার্যালয়ে আশ্রয় নেন৷ এদিকে, কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা মিলে তেলিয়ামুড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বিভাস দাসকে মারধোর করেছেন এবং তার বাইক ভেঙ্গে দিয়েছেন৷
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপি এবং কংগ্রেস সমর্থকরা তেলিয়ামুড়া থানার সামনে জড়ো হতে থাকেন৷ নিমেষের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা তেলিয়ামুড়ায়৷ ত্রিপুরায় শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে জাতীয় সড়কেই তেলিয়ামুড়া থানার নাকের ডগায় শুরু হয় ইট পাটকেল ঢিল ছোঁড়া ছুড়ি৷ পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী দুই রাজনৈতিক দলের কর্মীদের উপর শুরু করেন লাঠিচার্জ৷ বর্তমানে তেলিয়ামুড়া শহরজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ আহতদের তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতদের ছেড়ে দেওয়া হয়৷
তেলিয়ামুড়া শহরে এই ঘটনার পর গোটা শহর জুড়ে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে৷ এবিষয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনা চরন জমাতিয়া জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে৷ তদন্তের পরই বলা যাবে আসল ঘটনা৷ আজ ছিল তেলিয়ামুড়া বাজারের হাট বার৷ প্রচুর সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতারা এই ঘটনা খবর ছড়িয়ে পড়তেই পালিয়ে যান৷ এদিকে, যুব মোর্চার কর্মীদের উপর আক্রমনের ঘটনায় থানার সামনে পথ অবরোধ করেন মোর্চা সমার্থক-রা৷ ওই অবরোধে সরকারি মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় অংশ নিয়েছেন৷
তিনি বলেন, ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার উদ্দেশ্যেই সিপিএম-কংগ্রেস একজোট হয়েছে৷ তাই, তারা যুব মোর্চার কর্মীদের মারধর করেছেন৷ এমনকি, তারা সাংবাদিক রাহুল ধরকেও মেরেছেন৷ তিনি হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, দোষীর গ্রেফতারি না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে না৷

