আগরতলা, ২৯ এপ্রিল (হি. স.)৷৷ দুই দশকের অপেক্ষার অবসান৷ ত্রিপুরায় চিহ্ণিত ১৩টি এলাকায় রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যেই এই স্থানগুলি চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ আজ আমবাসার হাদুকলাউতে রিয়াং শরণার্থী পুনর্বাসন কেন্দ্রের ফলক উন্মোচন করে এ-কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ উল্লেখ্য, এখানে ২০৪টি পরিবারের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, বিধায়ক পরিমল দেববর্মা, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, মুখ্যসচিব মনোজ কুমার, ধলাই জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা গোবেকর ময়ূর রতিলাল ও জেলার পুলিশ সুপার কিশোর দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন৷
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুদীর্ঘ ২৩ বছর পর প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের কাজ রাজ্যে শুরু হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ২৩ বছর পর এই প্রথম আমবাসা মহকুমার হাদুকলাউতে ২০৪টি শরণার্থী পরিবারের প্রথম পর্যায়ে পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ শুরু হলো৷ এখানে আরও কিছু রিয়াং পরিবার পুনর্বাসন পাবেন৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ১৩টি এলাকায় রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের স্থান চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ ১২টি এলাকায় অবশিষ্ট রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷
তিনি জানান, ত্রিপুরায় মোট ৩৬ হাজার ১৪০ জন শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷ এজন্য ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা৷ ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার প্যাকেজ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন৷ যার ফলশ্রুতিতে রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের কাজ ত্বরান্বিত হবে৷ একাজে সফলতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান৷ তিনি আশা প্রকাশ করেন হাদুকলাউতে পুনর্বাসনপ্রাপ্ত রিয়াং পরিবারগুলি নিজেদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি এই এলাকার অন্যান্য জনজাতি ও জাতি সহ সকলের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে৷

