আগরতলা, ২৯ এপ্রিল (হি. স.) ৷৷ যত বেশি নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে৷ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে৷ গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬ জন৷ ৫০৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ওই করোনা আক্রান্তদের সন্ধান মিলেছে৷ যা দ্বিতীয় ঢেউ-এ এখন পর্যন্ত সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে সবর্োচ্চ স্থানে রয়েছে৷ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে গত বছরের থেকেও ভয়ানক পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে৷ কারণ, এ-বছর অতিমারির প্রভাব অনেক আগেই ত্রিপুরায় আছড়ে পড়েছে৷ গত বছর এমন সময়ে করোনার প্রভাব তেমনভাবে ত্রিপুরায় দেখা দেয়নি৷ তবে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫০ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন৷ তাতে, সামান্য স্বস্তি মিলেছে৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০২০৷
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় আরটি-পিসিআর ১২০২ এবং রেপিড এন্টিজেনর মাধ্যমে ৩৮৭৩ জন মোট ৫০৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে, আরটি-পিসিআর ৫৪ জন এবং রেপিড এন্টিজেন-এ ১১২ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷ সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১৬৬ জন নতুন করোনা সংক্রমিত-র খোজ পাওয়া গেছে৷
তবে, সামান্য স্বস্তির খবর-ও রয়েছে৷ গত ২৪ ঘন্টায় ৫০ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছে৷ তাতে, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১০২০ জন৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৩৫০২৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৩৩৫৫৫ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের হার ৫.০০ শতাংশ৷ তেমনি, সুস্থতার হার ৯৫.৯৫ শতাংশ৷ এদিকে মৃতের হার ১.১২ শতাংশ৷
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর, ক্রমাগত পশ্চিম জেলায় সংক্রমণ-এ শীর্ষে থাকছে৷ নতুন করে পশ্চিম জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৯৮ জন, দক্ষিন জেলায় ১০ জন, গোমতি জেলায় ৫ জন, ধলাই জেলায় ১৯ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৩ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ১১ জন এবং উনোকোটি জেলায় ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ খোয়াই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় কেউ আক্রান্ত হননি৷