আগরতলা, ১৪ এপ্রিল (হি.স.)৷৷ সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব ড় বিআর আম্বেদকরের ১৩১-তম জন্মজয়ন্তী ত্রিপুরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে৷ সরকারিভাবে এবং বিভিন্ন সংগঠন তাঁর জন্মজয়ন্তী পালন করেছে৷
রাজধানী আগরতলা শহরের মেলারমাঠে ভানু ঘোষ স্মৃতি ভবন-এর সামনে সারা ভারত কৃষক সভা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে ড় বিআর আম্বেদকরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে সংবিধান দিবস ও অধিকার রক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে৷ এই উপলক্ষ্যে বাবা সাহেবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷ বাবা সাহেবের জীবন আদর্শ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সারা ভারত কৃষক সভা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাবাসাহেব ড় বিআর আম্বেদকরের জীবন আদর্শ প্রত্যেকের কাছেই সময় উপযোগী হয়ে উঠেছে৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বাবা সাহেবের আদর্শ তুলে ধরার জন্য সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান৷
এদিন আগরতলায় মেলারমাঠে আম্বেদকর ভবনের সামনে ত্রিপুরা তফশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে বাবাসাহেব ড় বিআর আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়৷ বাবা সাহেবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়৷
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে বিধায়ক তথা ত্রিপুরা তফশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির রাজ্য কমিটির সম্পাদক সুধন দাস বলেন, আম্বেদকর বর্ণবাদী নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জীবন সংগ্রাম শুরু করেছিলেন৷ তিনি ছিলেন নিম্ন বর্ণের মানুষ৷ ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে জীবন সংগ্রামে তিনি শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অলংকৃত করতে সক্ষম হয়েছেন৷ তিনি দেশের একজন শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে পরিগণিত হন৷ ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর আম্বেদকরের নেতৃত্বেই ভারতের সংবিধান প্রণীত হয়৷ তিনি বলেন, শূদ্র ও নারীর অধিকার দিতে চাইছে না বর্ণবাদীরা৷ আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শূদ্র এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের মানুষ৷
প্রসঙ্গক্রমে বিধায়ক সুধন দাস বলেন, আমাদের দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতেই আক্রমণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি৷ তিনি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে তারা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই সব প্রতিশ্রুতি পালন করছে না৷ উপরন্তু বিরোধীদের ওপর হামলা নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে৷ এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান৷