কলকাতা, ৫ এপ্রিল (হি . স.) : “নির্বাচনের আগে আমার পা-য়ে আঘাত করল।“ এই ভাষাতেই ফের তাঁকে আঘাত করার অস্ত্রে চুঁচড়ার সভায় সহানুভূতি কুড়োনোর চেষ্টা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১০ মার্চ দিনভর মন্দিরে পুজো থেকে ধর্মানুষ্ঠানের পর নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া গিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধেয় বিড়ুলিয়া বাজারে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। সেখানে আচমকাই আঘাত পান। মাথায়, পায়ে ও কোমরে চোট পেয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফেরেন তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থী। গোড়া থেকে মাঝে মাঝেই বিষয়টি নিয়ে তিনি চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন।
তাঁর অভিযোগ, প্রচণ্ড ভিড়ে সেই সময় চক্রান্ত করে ৪-৫ জন তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি মাটিতে পড়ে যান। তাঁর বাঁ পায়ে, কোমরে ও মাথায় চোট লাগে। পা ফুলে যায়। জ্বর আসে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশের কেউ ছিল না। চক্রান্ত করেই তাঁকে ধাক্কা মারা হয়েছে। এটা অবশ্যই চক্রান্ত। ইচ্ছাকৃতভাবে মারা হয়।
তৃণমূলনেত্রীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে তুমুল হইচই হয়। বিভিন্ন স্তরে তদন্ত করেও অভিযোগের সারবত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বিরোধী দলগুলো সমষ্বরে অভিযোগ করে, সাজানো ঘটনার সাহায্যে ভোটদাতাদের কাছে অসত্য তথ্য পরিবেশন করে সহানুভূতি কুড়োনোর চেষ্টা করছেন তিনি। সর্বস্তরে সমালোচনা হয় বিষয়টি নিয়ে। সোমবার চুঁচড়ায় ফের জনসভায় তাঁকে আঘাত করার অভিযোগ তুললেন তিনি।