কৈলাসহরে সিডিপিও অফিস খেরাও করল কংগ্রেস কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ মার্চ৷৷ প্রকৃত গরীব মানুষদের ভাতা না দিয়ে টাকার বিনিময়ে এবং বিজেপি নেতাদের কথা মতো ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ভাতা দেওয়ায় কংগ্রেস কর্মীরা কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার বিদ্যাসাগর দেববর্মাকে চেম্বারে সকাল এগারোটা থেকে ঘেরাও করে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷
শনিবার বেলা এগারোটা থেকে সিডিপিও বিদ্যাসাগর দেববর্মাকে নিজ চেম্বারে রেখে পুরো অফিস ঘেরাও করে কংগ্রেস কর্মীরা৷ তারা সিডিপিও বিদ্যাসাগর দেববর্মাকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়৷ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কৈলাসহর থানার পুলিশ এবং টি.এস.আর৷ দুপুর দেড়টায় কংগ্রেস কর্মীরা আরও উত্তেজিত হয়ে সিডিপিওকে রুমের ভিতরে রেখে তালাবন্ধী করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে৷

বিক্ষোভ চলাকালীন ঊনকোটি জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান সংবাদ প্রতিনিধিদের জানান যে, কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনে কংগ্রেস দল পরিচালিত দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে৷ এই দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বরাবরই রাজ্যের বিজেপি দলের সরকার কিংবা প্রশাসন প্রথম থেকেই সর্বক্ষেত্রেই বিমাতৃ সুলভ আচরণ করে যাচ্ছে৷ এরমধ্যে নতুন ভাবে সংযোজন হয়েছে ভাতা৷ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রকৃত গরীব মানুষদের নামের তালিকা তৈরি করে ব্লকের বিডিও এবং সিডিপিওকে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু পরবর্তী সময়ে পঞ্চায়েতের দেওয়া নামের তালিকা থেকে অধিকাংশ প্রকৃত গরীব মানুষদের বাদ দিয়ে বড় বড় ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, কয়েক শতক জায়গার মালিক সহ ধনাঢ্য মানুষদের ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে৷ বদরুজ্জামান আরও গুরুতর অভিযোগ জানান যে, সরকারি আইন না মেনে এক পরিবারের একটি রেশন কার্ড থেকে তিনজন চারজন মানুষকে ভাতা পাওয়ারও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে৷ তাও উনাদের বিপিএল কিংবা অন্ত্যদোয় কার্ডও নেই৷ বদরুজ্জামান প্রকাশ্যেই বলেছেন যে, কৈলাসহরের বিভিন্ন কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি নেতারা গিয়ে বলছে টাকা দাও ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে৷

বিজেপি দলের নেতারা টাকা নিয়ে সিডিপিও বিদ্যাসাগর দেববর্মাকে টাকার কিছু অংশ দিয়ে পঞ্চায়েতের দেওয়া রেজুলেশন অর্থাৎ পঞ্চায়েতের দেওয়া সিধান্ত না মেনে সম্পুর্ন বেআইনি ভাবে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে কয়েকবারই কংগ্রেস দলের নেতারা সিডিপিও বিদ্যাসাগর দেববর্মাকে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উনি কোনো ধরনের সদুত্তর দেননি৷ এতে কংগ্রেস দলের নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার হঠাৎ করে সিডিপিও অফিসে গিয়ে ঘেরাও করেন৷ জেলাশাসককে এবিষয়ে চুড়ান্ত সিধান্ত নেওয়ার জন্য তারা দাবি জানিয়েছেন৷কংগ্রেস নেতা কর্মীরা সিডিপিও বিদ্যাসাগর দেববর্মার উপর খুবই ক্ষুব্ধ৷ এদিন নেতৃত্বে ছিলেন ঊনকোটি জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান৷ এছাড়াও ছিলেন কংগ্রেস নেতা অহিদুজ্জামান, রুনু মিঞা, জুবের আহমেদ খান, হদিশ মিঞা সহ আরও অনেকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *