পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দয়ী বললেন সিটু নেতা

আগরতলা, ১ মার্চ (হি.স.)৷৷পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দয়ী বললেন সিটু-র ত্রিপুরা প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক শঙ্করপ্রসাদ দত্ত৷ সোমবার জ্বালানি তেল এবং রান্নার গ্যাসের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগরতলায় সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন (সিটু) বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করেছে৷ মিছিল থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্য হ্রাসের দাবি তুলেছে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন৷ সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে৷


সিটু-র প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ শঙ্করপ্রসাদ দত্ত বলেন, সাধারণ মানুষের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ভীষণ নির্দয়ী৷ তিনি বলেন, বিরোধী থাকার সময় জ্বালানি তেল এবং রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতো বিজেপি৷ অথচ, ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা কপর্োরেট সেক্টরকে প্রাধান্য দিচ্ছে৷

তাঁর অভিযোগ, অপরিশোধিত তেলের দাম যখন ১০৮ টাকা ছিল তখন পেট্রোল ৭১ টাকায় এবং ডিজেল ৫৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হতো৷ অথচ এখন অপরিশোধিত তেলের দাম কমে ৬০ টাকা হয়েছে, অথচ পেট্রোল প্রতি লিটার ১০০ টাকায় পৌঁছে গেছে৷ তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাস থেকে মুনাফা কামাচ্ছে, তহবিল বাড়াচ্ছে৷ অথচ, সাধারণ মানুষের কথা ভাবছে না৷ তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাতে পারে৷ শুধুমাত্র, করের হার কমিয়ে দিলেই দাম হু হু করে কমে যাবে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তার বদলে পুঁজিপতিদের ১০ লক্ষ কোটি টাকার কর ছাড় দিয়েছে৷ তাতে, সাধারণ মানুষের ঘাড়েই বোঝা বেড়েছে৷


তাঁর দাবি, কোনও উৎস নেই, অথচ নেপালে পেট্রোল প্রতি লিটার ৬৮ টাকা এবং আফগানিস্তানে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে৷ তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের ঘাড়ে অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গর্হিত অপরাধ করছে৷ শুধু তা-ই নয়, মার্চের পর তেলের দাম কমবে দাবি করতেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লজ্জাবোধ করেননি৷ কারণ, পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন আসন্ন, জ্বালানি তেল এবং রান্নার গ্যাসের মূল্য কমার সম্ভাবনা স্বাভাবিক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *