নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্যে উৎপাদিত সামগ্রী বিভিন্নভাবে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার প্রয়াস নিয়েছে সরকার৷ এরফলে দেশ-বিদেশে ত্রিপুরার পরিচিতি বাড়ছে৷ আজ সচিবালয়ে নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যাপ্লিকেশন এণ্ড রিচ (এন ই সি টি এ আর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. অরুণ কুমার শর্মা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে সৌজন্যমূল০ক সাক্ষাৎকারের সময় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব৷
সাক্ষাৎকারের সময় এন ই সি টি এ আর-এর ডিরেক্টর জেনারেল শ্রীশর্মা মুখ্যমন্ত্রীকে বাঁশের তৈরি ঘড়ি এবং মারক প্রদান করেন৷ উভয়ের মধ্যে রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়৷ আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ হাব গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন৷ এজন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যাপ্লিকেশন এণ্ড রিচ-কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, রাজ্যে শিল্পের বিকাশে সাবমকে ইণ্ডাস্ট্রিয়াল জোন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার৷
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সুুসংহত স্থল বন্দর, লজিস্টিক হাব, রেলওয়ে ইয়ার্ড সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে উঠছে সাবমে৷ ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু চালু হলে বাংলাদেশের চ-গ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য সম্পসারিত হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যাক্ত করেন৷ আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে খেজর গুড় উৎপাদন বাড়াতে খেজর রস আহরণকারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা নেক্টারকে উদ্যোগ নিতে বলেন৷ পাশাপাশি তিনি উৎপাদিত দ্রব্যের আকর্ষণীয় ব্যাণ্ডিং ও প্যাকেটিং-এর উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন৷
সাক্ষাৎকালে নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যাপ্লিকেশন এণ্ড রিচ-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানান, কেন্দ্রীয় বি’ান ও প্রযুক্তি দপ্তরের একটি স্বশাসিত সংস্থা হচ্ছে নেক্টার৷ নেক্টার বিশেষ করে উত্তর-পূর্বা’লের ক’ষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, উদ্যান, দক্ষতা উন্নয়ন সহ বাঁশজাত শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে৷ রাজ্যে বাঁশের তৈরি খেলনা, মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হয়৷ নেক্টারের ডিরেক্টর জেনারেল আরও জানান, ত্রিপুরায় প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁশের তৈরি ঘড়ি এবং বাঁশের বোতল তৈরি করা হচ্ছে৷ সাক্ষাৎকারের সময় রাজস্ব দপ্তরের সচিব তনুশ্রী দেববর্মা সহ নেক্টারের ব্যাম্ব এণ্ড কেইন ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট আগরতলার ডা. অভিনব কান্ত উপস্থিত ছিলেন৷

