নয়াদিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় হবে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গে ২৭ মার্চ থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, অন্তিম দফার ভোটগ্রহণ ২৯ এপ্রিল। ভোটের ফল ঘোষণা হবে ২ মে। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে ২৭ মার্চ, দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল, তৃতীয় দফার ভোট হবে ৬ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ হবে ১০ এপ্রিল, পঞ্চম দফার ভোট ১৭ এপ্রিল, ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ২২ এপ্রিল, সপ্তম দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল এবং বঙ্গে অষ্টম তথা অন্তিম দফার ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। ভোটগণনা হবে ২ মে।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, “অসমে তিন-দফায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে ২৭ মার্চ, দ্বিতীয় দফা ১ এপ্রিল এবং তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ৬ এপ্রিল। অসমে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা হবে ২ মে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, “কেরলে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৬ এপ্রিল। কেরলে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা হবে ২ মে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৬ এপ্রিল, পুদুচেরিতে ভোটগণনা হবে ২ মে।” এবার তামিলনাড়ুতে এক দফায় হবে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, “আগামী ৬ এপ্রিল এক-দফায় বিধানসভা নির্বাচন হবে তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ুতে ভোটগণনা হবে ২ মে।”
শুক্রবার বিকেল সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই কোভিড যোদ্ধা এবং ফ্রন্টলাইনে থাকা সকলকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। তিনি বলেন, “অতিমারির ঝুঁকির মধ্যেই, রাজ্যসভার ১৮টি আসনে নির্বাচন নিয়ে টেস্ট ট্রায়াল করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর বিহার নির্বাচন সত্যিই চ্যালেঞ্জ ছিল। তা সত্ত্বেও ২০২০ সালে বিহারে ৫৭.৩৪ শতাংশ মানুষ ভোট দেন। ৫৯.৬৯ শতাংশ মহিলা ভোটার ভোট দিতে আসেন। কোভিড যোদ্ধা, চিকিৎসক, প্যারামেডিক্স, নার্স, গবেষক, বিজ্ঞানী এবং নির্বাচনী ডিউটিতে থাকা আমাদের সমস্ত অধিকারিক, ফ্রন্টলাইনে থাকা সকলকে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, “তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অসম এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে ২.৭ লক্ষ পোলিং স্টেশনে ভোট দেবেন ১৮.৬৮ কোটি ভোটার। এই সমস্ত নির্বাচনে মোট ৮২৪টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে।”
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, “অসম বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মে, অসমে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১২৬ (এসসি-৮ এবং এসটি ১৬)। তামিলনাড়ুতে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মে, সেখানে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ২৩৪ (এসসি-৪৪ এবং এসটি-২), পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ মে, পশ্চিমবঙ্গে মোট আসন সংখ্যা ২৯৪ (এসসি-৬৮ এবং এসটি-১৬), কেরল বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১ জুন, কেরলে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১৪০ (এসসি-১৪ এবং এসটি-২) এবং পুদুচেরিতে মোট আসন সংখ্যা ৩০ (এসসি-৫ এবং এসটি আসন নেই)।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন, “নির্বাচনে পর্যাপ্ত সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স মোতায়েন নিশ্চিত করা হবে। সমস্ত সংবদেনশীল পোলিং স্টেশন চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হবে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৩১ শতাংশ ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধি হয়েছে। এ বছর পশ্চিমবঙ্গে ১ লক্ষ ১ হাজার ৯১৬টি ভোটকেন্দ্র থাকবে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করলে একসঙ্গে ৫ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না। সতর্কতা মেনে সর্বাধিক ৫টি গাড়ি নিয়ে পথসভা করা যাবে। অনলাইন মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। সশরীরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর সঙ্গে ২ জন যেতে পারবেন।”