পুদুচেরি, ২২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): সরকার পড়ে গেল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে। পতন হল কংগ্রেস সরকারের। সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় আস্থা ভোটে হেরে গেলেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। আস্থা ভোটে পরাজয়ের পরই পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ডঃ তামিলিসাই সৌন্দররাজনের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ভি নারায়ণস্বামী। রবিবারই দুই বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে নারায়ণস্বামীর সরকার। এদিন আস্থা ভোটের আগেই শাসক গোষ্ঠীর বিধায়করা ওয়াক আউট করেন। এর পর স্পিকার ঘোষণা করেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস সরকার। এই পরাজয়কে ভালোভাবে মেনে নিতে পারছেন নারায়ণস্বামী। বিজেপিকে আক্রমণ করে ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, “আমি নিজে, মন্ত্রীরা, কংগ্রেস এবং ডিএমকে বিধায়ক ও নির্দল বিধায়করা ইত্স্তফা দিয়েছি। এটা গণতন্ত্রের হত্যা। পুদুচেরির জনগণ এবং এই দেশ তাঁদের উচিত শিক্ষা দেবে।”
কংগ্রেস সরকারের কাছে মাত্র ১২ জন বিধায়ক ছিল। সেখানে বিরোধী বিধায়কের সংখ্যা ১৪। রবিবার বিধানসভার অধ্যক্ষ ভি পি শিবাকোলুন্ধুর বাসভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন রাজভবন কেন্দ্রের বিধায়ক কে লক্ষ্মীনারায়ণ। ডিএমকে বিধায়ক কে ভেঙ্কটেশনও তারপর ইস্তফা দেন। ২০১৬ সালে ডিএমকের তিনজন এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিল সরকার। নিজেদের হাতে ছিল ১৫ জন। কিন্তু আপাতত ৩৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় (তিনজন মনোনীত) পাঁচজন সদস্য কমে গিয়েছে। তার ফলে বিধানসভায় সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। লক্ষ্মীনারায়ণ এবং ভেঙ্কটেশনের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়াবে ২৬। আর অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে বিজেপির হাতে ১৪ জন বিধায়ক আছেন। এর জেরেই ক্ষমতা হারাল নারায়ণস্বামী সরকার।
এদিন বিধানসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করে নারায়ণস্বামী বলেছেন, “তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে, আমরা দু’টি ভাষা অনুসরণ করি, কিন্তু বিজেপিকে জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দিচ্ছে।” ইস্তফা দেওয়া বিধায়কদের প্রসঙ্গে নারায়ণস্বামী বলেন, “বিধায়কদের দলের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। যে সমস্ত বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা জনগণের মুখোমুখি হতে পারবেন না, কারণ জনগণ তাঁদের সুবিধাবাদী আখ্যা দেবে।” নারায়ণস্বামী আরও বলেছেন, “ডিএমকে এবং নির্দল বিধায়কদের সমর্থনে আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। তারপর সমস্ত উপ-নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি। এটা পরিষ্কার, পুদুচেরির জনগণ আমাদের বিশ্বাস করেন।”