আগরতলা, ২২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : সম্প্রতি ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে ২২ জনের আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই, বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আজ দুপুরে এ-বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
হাপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. অরিন্দম দত্ত জানিয়েছেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্য কর্মী ও রোগী মিলিয়ে দু-দিনের অন্তরে ৩১ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল। অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে তাঁদের করোনা আক্রান্তের প্রমাণ মিলেছিল। যথারীতি তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই হোম আইসলেসনে পাঠানো হয়েছে। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র তিনজনের দেহে করোনা-র উপসর্গ দেখা গেছে। বাকিরা সকলেই উপসর্গহীন হওয়ায় তাঁদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের করোনা সংক্রমণ নিয়ে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটি-পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছিল। ওই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি ফের ওই ২৩ জনের আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হয়েছিল। তাতে, একজন বাদে সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া, তিনজন ভীষণ অসুস্থ থাকায় তাঁরা টেস্টের জন্য আসতে পারেননি।
ডা. অরিন্দম দত্ত বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভ এবং আরটি-পিসিআর টেস্টে নেগেটিভ, বিষয়টি আমাদের বিভ্রান্ত করেছে। তাই, বিশেষজ্ঞদের সাথে এ-বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন। তিনি বলেন, এখনই কোনও ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই, করোনায় আক্রান্ত বলে চিহ্নিত সকলেই হোম আইসলেসনে থাকবেন। আজ এ-বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানান, আজকের বৈঠকে পশ্চিম জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার, করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, জিবি হাসপাতালের প্রধান মাইক্রো বায়োলজিস্ট সহ স্বাস্থ্য দফতর ও ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন।
তাঁর কথায় মনে হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত জটিল এবং স্পর্শকাতর হওয়ায় স্বাস্থ্য দফতরের সুপারিশ অনুযায়ী ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।