কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন টলিউডের অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার চললেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। অমিত শাহের কাকদ্বীপের সভাতেই হিরণের যোগ দেওয়ার কথা বিজেপিতে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, হিরণও বুধবারেই বিজেপি-তে যোগ দেবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি তা করেননি। সম্ভবত যশের সঙ্গে মঞ্চ এবং আলো ভাগ করতে চান না বলে। তা ছাড়া, রাজনীতির বৃত্তে গত বেশ কয়েক বছর ধরে থাকায় অমিতের সভায় যোগদানের আলাদা মাহাত্ম্য সম্পর্কেও হিরণ সম্যক ওয়াকিবহাল।
তবে যশের রাজনীতিতে এই হাতেখড়ি। আর হিরণের রাজনীতির অভিজ্ঞতা আছে গত বেশ কয়েকবছরের। বস্তুত, টলিউডের এই অভিনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পদাধিকারীও ছিলেন বটে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে যশের চেযে যশ খানিকটা কম হলেও রাজনীতির ভারে হিরণ খানিকটা এগিয়ে।
হিরণ বলেছেন, ‘‘আমার একটাই লক্ষ্য। বাংলা থেকে যে ভাবে হোক, অলক্ষ্ণীকে দূর করতে হবে। অলক্ষ্মী দূর না করলে আমাদের এই পশ্চিমবাংলায় লক্ষ্মী কখনও আসবে না। আর লক্ষ্মী না এলে বাংলায় কোনও আর্থ-সামাজিক বা বা পরিকাঠামো উন্নয়ন হবে না। শুধুমাত্র ভোটের আগে মানুষকে পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত খাইয়ে আর বোকা বানানো যাবে না।’’
কয়েকদিন ধরেই টলিউডের বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পী এবং কলাকুশলীদের মধ্যে বিজেপি-তে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। তবে তাঁরা কেউই সে ভাবে ‘স্টার’ বা ‘সুপারস্টার’ নন। তবু তাঁদের ঘিরে একটা কৌতূহল তৈরি হয়েছে বৈকি। আমজনতা তাকিয়ে আছে, এর পর আরও কারা বিজেপি-তে যোগ দেন