BRAKING NEWS

১০৩২৩ এর জেএমসির বিক্ষোভ সভায় চর্বিত চর্বন করলেন নেতৃত্বরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি৷৷ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের যৌথ সংগঠন জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি সোমবার রাজধানী আগরতলা শহরের রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সভা সংগঠিত করেছে৷ মূলত দু’দফা দাবিতে বিক্ষোভ সভা সংগঠিত করা হয়৷ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের যৌথ সংগঠন জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে৷ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগরতলা শহরের রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে গণবস্থান সংগঠিত করা হয়৷


চাকুরীরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া এবং যে ৮৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকারমৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ডাই ইন হার্নেস প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে৷ মূলত এই দুই দফা দাবিতে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি আন্দোলন আগামীদিনে চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন৷ সোমবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের নেত্রী ডালিয়া দাস বলেন তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে সিটি সেন্টারের সামনে ৫১ দিন শান্তিপূর্ণভাবে গণবস্থান আন্দোলন চালিয়ে গেছেন৷ ৫২দিনের শুরুতেই ভোরবেলা রাজ্য সরকারের নির্দেশে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আন্দোলন মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়ে তাদেরকে লাঠিপেটা করে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে৷ শুধু তাই নয় তাদের জন্য মজুদ খাদ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে৷


আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতৃত্ব আরো বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধি সঙ্গে আলোচনাকালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দু’মাসের মধ্যে তাদেরকে চাকুরীতে নিযুক্ত করার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷ কিন্তু তোমার অতিক্রান্ত হওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি৷ সে কারণেই ৭ ডিসেম্বর থেকে তারা সিটি সেন্টারের সামনে গণবস্থান আন্দোলনে শামিল হন৷ মুখ্যমন্ত্রী কিংবা সরকারের কোনো প্রতিনিধি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি৷
আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে বারবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ কিন্তু কোন ধরনের ইতিবাচক সাড়া মেলেনি৷ ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল৷ ২৭ ডিসেম্বর আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তারা যাদের দেখা করতে না পারেন সে জন্যই সাতাশে জানুয়ারি ভোর নাগাদ আন্দোলনকারীদের আন্দোলন মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক লাঠিপেটা এবং পরবর্তী সময়ে আন্দোলনকারীদের উপর জলকামান কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়৷

এ ধরনের কার্যকলাপ এর প্রতিবাদেই জয়েন্ট মোমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সভা সংগঠিত করা হয়৷ এদিকে ,জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি গণ অবস্থান আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়ে সাড়া না পাওয়ায় তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন৷হাইকোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী পহেলা মার্চ নির্ধারণ করেছে৷ গত অবস্থান সংগঠিত করার অনুমতি না পাওয়ায় তারা শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ সভা সংগঠিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *