BRAKING NEWS

ভারত-জাপানের অংশীদারিত্বে পরিবর্তন আসবে উত্তরপূর্বের : বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর

গুয়াহাটি, ১৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : গোটা দেশের পাশাপাশি অসমও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। সংযোগ তথা যোগাযোগ ব্যবস্থা এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অসমের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত বেশি উন্নত হবে, তত বেশি সর্বক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হবে এই অঞ্চল। রাজধানী গুয়াহাটিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথাগুলি বলেছেন বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।

গুয়াহাটির খানাপাড়ায় হোটেল তাজ বিভান্তেতে বৈঠক শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, বহু দফতরের মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি, বিজেপির সর্বভারতীয় উপ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডাকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর বক্তব্য পেশ করছিলেন।

মূলত, এক্ট-ইস্ট পলিসি এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাপান ও ভারতের সহযোগিতা বিবেচনায় সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে জাপানের সঙ্গে শিল্পোদ্যোগ সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিদেশমন্ত্রী ড. জয়শংকর জোরের সঙ্গে বলেন, ভারত-জাপানের অংশীদারিত্বে অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এশিয়ায় নতুন উৎপাদন, ব্যয়, কর্মসংস্থান এবং বাজারের উদয় হচ্ছে। এতে বেশি করে কর্মসংস্থান হবে। তবে অসম দীর্ঘদিন ধরে ভারত এবং প্রাচ্যের দেশগুলিকে সংযুক্ত করে চলেছে, বলেন তিনি।

বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর আরও বলেন, আরব সাগর থেকে দক্ষিণ চিন সাগরে যোগাযোগ স্থাপন করা দরকার আমাদের। এ-ও বলেন, পূর্ব ভারত যখন সমৃদ্ধ ছিল তখন ভারত একটি দুর্দান্ত দেশ ছিল। এছাড়া অসমম দীর্ঘদিন ধরে পূর্বের দেশগুলিকে ভারতের সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে সেতু হিসেবে কাজ করেছিল, তবে পরবর্তীতে তা ব্যাহত হয়ে পড়ে। অবশ্য, ২০২৪ সালের পর এতে বহু পরিবর্তন হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মাধ্যমে ভারত ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে, বলেন বিদেশমন্ত্রী ড. জয়শংকর।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গতকাল রাতে জাপানের রাষ্ট্ৰদূত সাতোশি সুজুকি এবং ভারতের বিদেশমন্ত্ৰী এস জয়শংকর গুয়াহাটিত গোপীনাথ বরদলৈ আন্তৰ্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করেছেন। বিমানবন্দরে তাঁদের দুজনকে স্বাগত জানান সংসদীয় পরিক্রমা, শিল্পোদ্যগ এবং পরিবহণ মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি। আজ সকালে উভয়ে নীলাচল পাহাড়ে শক্তপীঠ কামাখ্যাধামে গিয়ে মায়ের দর্শন করে পুজো দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গ দিয়েছিলেন রাজ্যের অর্থ সহ বহু দফতরের মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। দেবী কামাখ্যা দৰ্শন করে তাঁরা সোজা চলে যান খারঘুলিতে অবস্থিত জাইকা পানীয় জল প্ৰকল্পে। তিন বছর ধরে নিৰ্মীয়মাণ এই প্রকল্পের কাজ কতদূর এগিয়েছে সে-সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন বিদেশমন্ত্ৰী জয়শংকর। মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা ছাড়াও গুয়াহাটি উন্নয়ন দফতরের মন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচার্য উভয়ের সঙ্গে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা দুজন চলে যান খানাপাড়ায় হোটেল তাজ বিভান্তেতে। সেখানে মু্খ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় শীর্ষ আধিকরিকদের সঙ্গে উদ্যোগ ক্ষেত্রের বিকাশ সম্পর্কে বৈঠক করে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *