BRAKING NEWS

কানহাইয়া কুমারকে সতর্ক করল সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটি

নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি(হি.স.): কেরিয়ারের শুরুতেই রীতিমতো হোঁচট খেলেন জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা তরুণ সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার। দল বিরোধী মন্তব্য এবং তাঁর সমর্থকদের উদ্ধত আচরণের অভিযোগে কানহাইয়াকে সতর্ক করল সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটি। তাঁর বিরুদ্ধে রীতিমতো প্রস্তাবও পেশ করেছে দল।


সম্প্রতি একাধিক বিতর্কিত কারণে শিরোনামে এসেছেন জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা। একে তো সরাসরি দলের বিরুদ্ধে তিনি তোপ দেগেছেন। তার উপর তাঁর সমর্থকরা সম্প্রতি দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধেও চড়াও হয়েছেন। বিহারের নেতাদের অভিযোগ, গত ১ ডিসেম্বর কানহাইয়া তাঁর দলবল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে নিজেরই দলের নেতা ইন্দু ভূষণকে মারধর করেছেন। স্রেফ দলের একটি বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ার খবর জানানো হয়নি বলে, কানহাইয়ার সমর্থকরা দলের ওই পদাধিকারীকে মারধরের পাশাপাশি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরও করেছেন। যা নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ সিপিআই নেতারা। যদিও, কানহাইয়া পরে দাবি করেছেন, সেদিনের ঘটনা তাঁর উপস্থিতিতে ঘটেনি। নিজের অনুগামীদের আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। এর আগেও জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নিজের দল সিপিআইকে ‘কনফিউশন পার্টি অফ ইন্ডিয়া’ নামে কটাক্ষ করে। সেই বক্তব্যের জন্যও পরে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে।


গত ২৮ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত হায়দরাবাদে সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর সেই বৈঠকে কানহাইয়াকে  সতর্ক করে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির ওই বৈঠকে দলের ১১০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ডি রাজা-সহ  সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই নাকি কানহাইয়ার আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন । মাত্র ৩ জন সদস্য ছাড়া বাকি সকলেই কানহাইয়ার বিরুদ্ধে আসা সেই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। তবে, কানহাইয়া নিজে উপস্থিত ছিলেন না অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে।   যেভাবে কানহাইয়ার অনুপস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানো হল, তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *