BRAKING NEWS

বাজেটে ক্ষুদ্র শিল্পে বার্ষিক আয়ের পরিধি বেড়েছে, ত্রিপুরায় ৯৯ শতাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোগী উপকৃত হবেন : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : বাজেটে ক্ষুদ্র শিল্পে বার্ষিক আয়ের পরিধি বেড়েছে| ফলে, ত্রিপুরায় ৯৯ শতাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোগী উপকৃত হবেন| সাধারণ বাজেটের প্রশংসায় এ-কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব| সাথে তিনি যোগ করেন, কেন্দ্রের ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট জনহিতকর ও সময়োপযোগী। এই বাজেট দেশের আর্থিক স্থিতিকে মজবুত করবে। আজ মহাকরণে সাংবাদিকদের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এ-কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, এই বাজেট একটি সমৃদ্ধশালী বাজেট। কোভিড পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী যখন ক্রস্ত, সেই সময়ে এই বাজেট পেশ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।


কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ প্রায় ১৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা স্বাধীন ভারতে আগে আর কখনও হয়নি। আত্মনির্ভর স্বাস্থ্য ভারত কর্মসূচিতে ৬৪ হাজার ১৮০ কোটি টাকা খরচ করার সংস্থান রয়েছে। কোভিড টিকাকরণের জন্য ব্যয় হবে ৩৫,০০০ কোটি টাকা। আত্মনির্ভর স্বাস্থ্য ভারত প্রকল্পে গ্রামীণ এলাকায় ১৭ হাজার ৭৮৮টি এবং শহর এলাকায় ১১ হাজার ২৪টি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার তৈরি করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল ২০২৪ সালের মধ্যে পৌঁঁছে দেওয়ার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন। এবারকার প্রস্তাবিত বাজেটে ২.৮৬ কোটি বাড়িতে জল জীবন মিশনের আওতায় বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। ত্রিপুরায়ও অটল জলধারা মিশনে এই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। প্রস্তাবিত বাজেটে ডেভেলপমেন্ট অব ফিনানশিয়াল ইনস্টিটিউশন (ডিএফআই) একটি নতুন দিক বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। এর মাধ্যমে রাজ্যগুলি সহজে ঋণ নিয়ে পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হবে। পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও ১৮ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজ্যগুলির পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন পেতে সহজতর হবে। এবারে বাজেটে উজ্জ্বলা যোজনায় আরও এক কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। রাজ্যেও এই প্রকল্পে প্রায় ১০০ শতাংশ কভারেজ হয়েছে। যদি কেউ বাদ পড়ে থাকেন তাতে এঁরা লাভবান হবেন, দাবি করেন তিনি।


মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে এই বাজেটের ফলে লাভবান হবেন নতুন তরুণ উদ্যোগীরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র শিল্পের টার্ন ওভার বার্ষিক ৫০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করা হয়েছে। যুবক যুবতীরা এর ফলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন। তাঁর কথায়, ত্রিপুরার ক্ষেত্রে প্রায় ৯৯ শতাংশ উদ্যোগীরাই ক্ষুদ্র শিল্পের আওতায়, তাই এঁরাও উপকৃত হবেন। ডিজিটাল সেনসাস এই বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য দিক বলে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, এর জন্য বাজেটে ৩,৭৬৮ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। এর ফলে ২০২১ সালের জনগণনায় সঠিক তথ্য সংগৃহীত হবে। আর সঠিক তথ্য সবস্তরের পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়ক হয়। তিনি বলেন, এই বাজেটের ফলে কৃষি ক্ষেত্রেও কৃষকরাও উপকৃত হবেন। তাছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে সিনিয়র সিটিজেনদের আয়কর ছাড়, কৃষিক্ষেত্রে ক্রেডিট বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সহজে ঋণের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ধন্যবাদ জানান। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *