আগরতলা, ২৮ জানুয়ারি (হি.স.)৷৷ বেআইনিভাবে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে আমরা বাঙালি-র ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি৷ সংগঠনের সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপালের সাফ কথা, চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা কোনও অন্যায় করেননি৷ তাই, তাঁদের জীবন-জীবিকার প্রশ্ণে ত্রিপুরা সরকারের বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত৷ পাশাপাশি তাঁদের জীবন আজ বিপন্নের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক, জোরালো দাবি তুলেছে আমরা বাঙালি৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট জমানায় কোনও নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে বেআইনিভাবে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছিল৷ স্বজনপোষণ ও নগ্ণ দলবাজির অভিযোগ এনে কয়েকজন বেকার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়ে ২০১৪ সালে ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যায়৷ সুপ্রিমকোর্টও হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে৷ ফলে এখন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা স্থায়ী চাকরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন৷ ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার তাদের চাকরির পরীক্ষায় বসার আহ্বান জানিয়েছে৷ কিন্তু, তাঁরা কোনও পরীক্ষা ছাড়াই চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন৷ গতকাল তাঁদের আন্দোলন থেকে উৎখাত করেছে পুলিশ৷ তাতে প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলা হয়েছে৷ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন৷
ওই ঘটনায় আমরা বাঙালি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে৷ গৌরাঙ্গ রুদ্রপালের কথায়, আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বল প্রয়োগের ঘটনা অনভিপ্রেত৷ কারণ, তাঁদের ডেকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা উচিত ছিল৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় অনেক বিজ্ঞজন রয়েছেন৷ তাঁদের সহযোগিতায় আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেত৷ তিনি বলেন, ওই সকল চাকরিচ্যুত শিক্ষক নিরপরাধ৷ তাঁদের এখন জীবনজীবিকায় আঘাত এসেছে৷ তবে সর্বাবস্থায় তাঁদের জীবন বিপন্নের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত, বলেন গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল৷