নয়াদিল্লি, ২৯ জানুয়ারি (হি.স.): তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ ১৮টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। এই বয়কট নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। গিরিরাজ বলেছেন, “সংসদীয় ব্যবস্থায়, রাষ্ট্রপতির নিজস্ব মর্যাদা রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা বয়কট করার অর্থ হল রাষ্ট্রপতিকেই অসম্মান করা।” গিরিরাজের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়ে দিলেন, “রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা বয়কট করা মানে রাষ্ট্রপতিকে মোটেও অসম্মান করা নয়।”
সংসদের যৌথ অধিবেশনের রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের পেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা বয়কট করা মানে রাষ্ট্রপতিকে মোটেও অসম্মান করা নয়। আমরা কৃষকদের পাশে রয়েছি এবং তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা বয়কট করার নেপথ্যে এটাই আমাদের প্রধান কারণ। ধন্যবাদজ্ঞাপন এবং আলোচনার সময় আমরা এ বিষয়ে বিতর্ক করব।’ আবার আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেছেন, “কৃষি আইন প্রত্যাহার করা উচিত। আমরা রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার প্রতিবাদ জানিয়ে কৃষকদের সমর্থনে স্লোগান দিয়েছি। সেন্ট্রাল হলের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি আমাদের, তাই সেন্ট্রাল হলের গেটেই আমরা স্লোগান দিয়েছি। কৃষকদের বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে, তাই আমরা বক্তৃতা বয়কট করেছি।”
উল্লেখ্য, কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতাকে বয়কট করেছে কংগ্রেস, এনসিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, ডিএমকে, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সিপিআই (এম), সিপিআই, আইইউএমএল, আরএসপি, পিডিপি, এমডিএমকে, কেরল কংগ্রেস (এম), এআইইউডিএফ এবং শিরোমণি অকালি দল। এই বয়কটকে নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ”রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। কিন্তু, বিরোধীদের রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”