আগরতলা, ২০ জানুয়ারি (হি.স.)৷৷ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর সম্পর্কে আবারও নতুন পালক জুড়তে চলেছে৷ ত্রিপুরার বিলোনিয়া রেল স্টেশনের সাথে বাংলাদেশের বিলোনিয়া স্টেশন পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হবে৷ আগামী সাধারণ বাজেটে এ-সংক্রান্ত অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আইন-শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় প্রস্তাবিত বিকল্প রেল রুটের সমীক্ষার কাজ সমাপ্ত হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিলোনিয়া থেকে ফেনি পর্যন্ত রেল চলাচল বর্তমানে বন্ধ৷ ১৯৯৭ সালে ওই রেলপথে লোকসানের কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সরকার যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছিল৷ বাংলাদেশের বিলোনিয়া থেকে ফেনি স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২৭ কিমি৷ মিটারগেজ লাইনে রেল চলাচল করত৷ কিন্ত এখন বাংলাদেশ সরকার পুনরায় ওই রুটে রেল চলাচল শুরু করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে৷ ফলে, মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ অবশ্য, ২০১৭ সালে তদানীন্তন বিদেশমন্ত্রী প্রয়াত সুষমা স্বরাজ চিঠি দিয়ে ত্রিপুরা সরকারকে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ফেনি পর্যন্ত রেল লাইনটি চালু করার বিষয়ে ভারত সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এমন-কি, সম্প্রতি ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামী এবং দিল্লিস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ ইমরান ত্রিপুরা সফরে এসে জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাধীনোত্তর রেল সংযোগগুলি পুনরায় চালু করা বিষয়ে উভয় রাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়েছে৷
ত্রিপুরার বিলোনিয়া রেল স্টেশনের সাথে বাংলাদেশের বিলোনিয়া স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ৩ কিমি৷ ফলে, দুই দেশের মধ্যে নতুন রেল সংযোগ স্থাপনে ত্রিপুরার সরাসরি ফেনি পর্যন্ত যোগাযোগ সম্ভব হবে৷ তাতে ত্রিপুরা দারুন উপকৃত হবে৷ কারণ, সাব্রুমে মৈত্রী সেতু চালু হওয়ার পর সড়কপথে এবং নিশ্চিন্তপুর ও বিলোনিয়া দিয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহণে বিরাট সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে৷ কারণ, নদীপথেও ত্রিপুরা বাংলাদেশ থেকে পণ্য পরিবহণ শুরু করেছে৷ পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য আমদানি হয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী সাধারণ বাজেটে বিলোনিয়া থেকে বাংলাদেশের সাথে রেল সংযোগ স্থাপনে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করা হবে৷ সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে৷ এখন ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরা সরকারের সম্মতিপত্র সহ প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে গেছে৷