আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি (হি.স.) : প্রাক-বাজেট বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে ত্রিপুরার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। তাতে তিনি বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় করের প্রাপ্য অংশে ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনা করতেই হবে। কারণ, ২,৬৩৬ কোটি টাকার ঘাটতি ত্রিপুরার মতো ছোট্ট রাজ্যের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বিশেষ আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা বাজেটেই উল্লেখ রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাতে, কেন্দ্রীয় করের অংশ রূপে প্রাপ্য ঘাটতি পুষিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
সোমবাৰ ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অন্তর্বর্তী রিপোর্টে শুধুমাত্র ষষ্ঠ তফশিল অর্থাৎ ত্রিপুরা জনজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদকে প্রদানের কোনও সুপারিশ করা হয়নি। সেক্ষেত্রে এডিসি এলাকার উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রয়োজন আরও বেশি দেখা দিয়েছে, কারণ কোভিড-১৯ এডিসি এলাকার উন্নয়নকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। তাই এডিসি-র জন্য বিশেষ আর্থিক অনুদানের ব্যাবস্থা রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকার সংস্কার গ্রান্ট খাতে অর্থ বরাদ্দ করত। কিন্তু চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সময়কাল থেকে এ-ধরনের কোনও গ্রান্টের সুবিধা দেওয়া হয়নি। তাই, প্রচুর সম্পদ সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে সংস্কার গ্রান্ট পুনরায় চালু করার আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়া, পরিকাঠামো নির্মাণ তহবিল খাতে বিশেষ সহায়তা বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা চালু রাখা, বাহ্যিক সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা পদ্ধতি ৮০:২০ থেকে ৯০:২০ করা, এনইসি এবং ডোনার খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং আশাকর্মীদের সামাজিক ভাতা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা।