নয়াদিল্লি, ৩১ ডিসেম্বর (হি. স.) : ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে গুজরাটের রাজকোটে এইমসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। আগামী বছর বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হবে ভারতে। ২০২০ বছরটা শিখিয়ে দিয়ে গেল যে স্বাস্থ্যই হচ্ছে সম্পদ। এ বছরটা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।
বছরের শেষ দিনে নিজের ভাষণে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বছরের এই শেষ দিনে ভারতের কয়েক লক্ষ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী, ওষুধের দোকানে কাজ করা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রভাগে থাকা করোনা যোদ্ধাদের কথা ভাবার সময়। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের আজ বিনম্রতা পূর্বক শ্রদ্ধা জানাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে অবগত করাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ভারত। ২০২১ সালে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে হবে। করোনা প্রতিষেধক এসে গেলেও কোন রকমের গাফিলতি না করার আহ্বান দেশবাসীর কাছে করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘ আগে আমি বলেছিলাম ওষুধ না আসা পর্যন্ত কোনরকমে ঢিলেমি নয়। এখন বলছি ওষুধও আছে এবং কড়াকড়িও থাকবে। ২০২১ আমাদের মন্ত্র হচ্ছে ওষুধ আছে এবং কড়াকড়িও থাকবে। ‘ গুজব থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের দেশে গুজব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধরনের মানুষ ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ অথবা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করে বিভিন্ন ধরনের গুজব প্রচার করে থাকে। প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হলে এই গুজব আরো বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই অনেক ধরনের গুজব শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা এখনও একটি অজ্ঞাত শত্রুর মতো। ফলে গুজব থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। কোন মেসেজ ফরওয়ার্ড করার আগে ভেবে চিন্তে করা উচিত।
উল্লেখ করা যেতে পারে করোনার নতুন ধরনের স্ট্রেন ইতিমধ্যেই ভারতে ঢুকে পড়েছে। নৈশকার্ফু জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বর্ষবরণের উৎসব।