বেঙ্গালুরু, ২৯ ডিসেম্বর (হি.স.): কর্ণাটকের চিক্কামাগালুরু জেলার কাদুরের কাছে রেললাইন থেকে উদ্ধার হল রাজ্য বিধান পরিষদের ডেপুটি স্পিকারের মৃতদেহ। মঙ্গলবার ভোররাতে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় ডেপুটি স্পিকার এবং জেডিএস নেতা এস এল ধর্মেগৌড়া (৬৫)-র মৃতদেহ। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন রাজ্য বিধান পরিষদের ডেপুটি স্পিকার এবং জেডিএস নেতা এস এল ধর্মেগৌড়া। চিক্কামাগালুরুর ডিসি বাগাড়ি গৌতম জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুর খবর শোনার পরই ঘটনাস্থলে যান বিজেপি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সি টি রবি এবং ধর্মেগৌড়ার ভাই ভোজেগৌড়া।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কাদুরের শাখারায়াপাত্তানায় অবস্থিত বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার এস এল ধর্মেগৌড়া। পুলিশ এস্কর্টের পরিবর্তে নিজের গাড়ি নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি, সঙ্গে ছিলেন চালক। রেললাইনের কাছে পৌঁছনোর পর চালককে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন তিনি। ফোনও সুইচ অফ হয়ে যায়। তারপর থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ যাওয়া যায়নি। এরপর মঙ্গলবার ভোররাতে মৃত্যুর খবর পৌঁছয়।
রাজ্য বিধান পরিষদের ডেপুটি স্পিকার এবং জেডিএস নেতা এস এল ধর্মেগৌড়ার মৃত্যুর খবর শুনে শোকে ভেঙে পড়েছেন জেডিএস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া। দেবেগৌড়া জানিয়েছেন, ডেপুটি স্পিকার এবং জেডিএস নেতা এস এল ধর্মেগৌড়ার মৃত্যুর খবর শুনে ব্যথিত। তিনি অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন। এটা রাজ্যের বড় ক্ষতি। আবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী বলেছেন, ‘এটি রাজনৈতিক খুন। যতটা দ্রুত সম্ভব প্রকৃত সত্য সামনে আসা উচিত।’ শোকে ভেঙে পড়েছেন কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। তিনি জানিয়েছেন, ‘ধর্মেগৌড়ার মৃত্যুর খবর শুনে ব্যথিত। অত্যন্ত সরল মানুষ ছিলেন তিনি। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।’ ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।