প্যারিস, ১৮ ডিসেম্বর (হি. স.) : করোনা আক্রান্ত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সংস্পর্শে আসায় তিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আরও একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক ইতিমধ্যেই সেলফ আইসোলেশনে গিয়েছেন। বাকিরা অবশ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। যে তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আইসোলেশনে গিয়েছেন তাঁরা হলেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ ও ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স।
গত সপ্তাহে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েনসহ আরও অনেকে। ইইউ’র ওই সম্মেলনে হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মুখে আদর করে অভ্যর্থনা জানাতে দেখা গিয়েছিল ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। সেই সময়ে কাছাকাছিই ছিলেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কার্জ। তাছাড়া গত ১৪ ডিসেম্বর ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ।
গত বুধবার ম্যাক্রোঁর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছিলেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা। এলিসি প্যালেসের সিঁড়িতে তাঁকে জড়িয়েও ধরেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, কস্তার পূর্বনির্ধারিত সব সফর বাতিল করা হয়েছে এবং তিনি সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন। বুধবারই ফরাসি মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে হাজির ছিল গোটা মন্ত্রিসভা। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে হাতও মিলিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স। তবে তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ না থাকলেও তিনিও সেলফ আইসোলেশনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের। তবে মিশরের প্রেসিডেন্ট আইসোলেশনে গিয়েছেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। ম্যাক্রোঁ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আইসোলেশনে যাওয়ার তালিকায় রয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলও। এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর মাধ্যমে আর কোথায় কোথায় ভাইরাস ছড়াতে পারে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।