আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর (হি.স.)৷৷ চাকরির দাবিতে লাগাতার গণ-অবস্থানে বসেছেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা৷ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তাঁদের তিনটি সংগঠন যৌথভাবে আজ সোমবার এই আন্দোলনে শামিল হয়েছে৷ তাঁদের সাফ কথা, চাকরি প্রদানে সরকারের লিখিত প্রতিশ্রুতি মিললেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের ভুল নীতির কারণে চাকরির জন্য ২০১৪ সালে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল৷ এর পর সুপ্রিম কোর্টও তাঁদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছিল৷ তবে ত্রিপুরায় বিদ্যালয় পরিচালনায় অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাঁদের অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগে অনুমতি দিয়েছিল৷ গত ৩১ মার্চ তাঁদের অ্যাডহক ভিত্তিতে চাকরির মেয়াদ সমাপ্ত হয়ে গেছে৷ ফলে, তাঁরা এখন চাকরির স্থায়ী সমাধানের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন৷
অবশ্য ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট তাঁদের চাকরির যাওয়ার পর লকডাউনের সময় আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল৷ এমন-কি, তাঁদের জন্য শূন্যপদ খুঁজে বরে করেছে৷ ইতিমধ্যে ৪,০০০ অশিক্ষক পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার৷ শুধু তা-ই নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ওই অশিক্ষক পদে নিয়োগে বয়সের ছাড়ও দেওয়া হয়েছে৷ ইতিপূর্বেও চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের টেট পরীক্ষায় বসার জন্য বিএড ছাড় দেওয়া হয়েছিল৷ সম্প্রতি অশিক্ষক পদে নিয়োগে পরীক্ষার বন্দোবস্ত রয়েছে৷ কিন্তু চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা তাতে সন্তুষ্ট নন৷
আজ গণ-অবস্থানে অংশগ্রহণকারী চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির সদস্যা ডালিয়া দাস বলেন, ত্রিপুরা সরকার নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আমাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবে৷ অথচ, বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতা আসার এতদিন পরও সমস্যা সমাধানের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ তাঁর দাবি, দুমাস আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমাদের চাকরির স্থায়ী সমাধান করবেন৷ সেই প্রতিশ্রুতিরও খেলাপ করা হয়েছে৷ তাই, আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি৷ তাঁর সাফ কথা, চাকরির স্থায়ী সমাধানের লিখিত প্রতিশ্রুতি মিললেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে৷ নয়তো, লাগাতার গণ-অবস্থান জারি থাকবে৷