নয়াদিল্লি, ৭ ডিসেম্বর (হি.স.): এনকাউন্টারের পর রাজধানী দিল্লিতে ৫ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন পঞ্জাব এবং ৩ জন জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। সোমবার ভোররাতে অথবা ভোরে দিল্লির শাকারপুর এলাকায় এনকাউন্টারের পর ৫ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্পেশাল সেলের ডিসিপি প্রমোদ কুশওয়াহ জানিয়েছেন, শাকারপুর এলাকায় এনকাউন্টারের পর ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন পঞ্জাব এবং ৩ জন জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, নার্কো সন্ত্রাসবাদের জন্য ওই ৫ জনকে সম্ভবত সহায়তা করেছিল আইএসআই। তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গেও যোগ থাকতে পারে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম জানার চেষ্টা চলছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পঞ্জাবে সূর্য চক্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বলবিন্দর সিংকে হত্যায় এই ৫ জনের মধ্যে একজন জড়িত। এনকাউন্টার এবং ৫ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করার প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে স্পেশাল সেল-এর ডিসিপি প্রমোদ কুশওয়াহ আরও জানিয়েছেন, ধৃত ৩ জন কাশ্মীরিকে হিজবুল মুজাহিদিনের ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার বলা যেতে পারে। পাকিস্তানে তাদের একটি সেটআপ আছে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাদের সহযোগীরা রয়েছে।
ডিসিপি আরও জানিয়েছেন, টার্গেট হত্যার জন্য পঞ্জাবের গ্যাংস্টারদের ব্যবহার করা হয়েছে। এর প্রধান দু’টি উদ্দেশ্য, সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরোধীদের আশাহত করা। ধৃত ৫ জনের মধ্যে দু’জন অক্টোবরে বলবিন্দর সিং হত্যায় জড়িত, তাদের নাম-গুরজিৎ সিং ভুরা এবং সুখদীপ। এরা দু’জন পঞ্জাবের গ্যাংস্টার এবং পাকিস্তানি আইএসআই-এর যোগ রয়েছে। টার্গেট হত্যার কাজে লাগেনি হয়েছিল পঞ্জাবি গ্যাংস্টারদের এবং কাশ্মীরিরা মাদক পাচার, মাদক বিক্রি এবং সন্ত্রাসে টাকা সহায়তার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কৃষকদের আন্দোলনের সঙ্গে ধৃত ৫ জনের কোনও সম্পর্ক নেই।