টাকার জন্য মৃতদেহ আটকে রাখল আইএলএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ ডিসেম্বর৷৷ রাজধানী আগরতলা শহরের অন্যতম বেসরকারি আইএলএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে আবারো রোগীকে হাসপাতালে আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর পরিবারের লোকজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে গোমতী জেলার উদয়পুরের রাজারবাগ এলাকার সুরেশ চন্দ্র সরকার নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল৷ রোগীর পরিবারের কাছ থেকে আইএলএস হাসপাতাল মোট ৪৪ লক্ষ টাকা দাবি করেছে৷পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন যখন টাকার প্রয়োজন হয় তখন ঐ আইএলএস হাসপাতাল থেকে রোগীর পরিবারের লোকজনদের ফোন করা হতো৷ যথারীতি রোগীর পরিবার এর লোকজনরা টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন৷রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তাদের কাছ থেকে কখনোই ভালো কোন উত্তর মিলছে না বলে তারা জানান৷ এমনকি রোগীর মৃত্যুর খবর পরিবারের লোকজনদের সঠিক সময়ে জানানো হয়নি৷


মৃত্যুর পরে মৃত্যুসংবাদ জানিয়ে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে আরও টাকা-পয়সা দাবি করেছে আইএলএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ তাতে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ রোগীর মৃত্যুর ঘটনা সঠিক সময়ে না জানিয়ে পরবর্তী সময়ে অধিক টাকা দাবি করার কোন অধিকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থাকতে পারে না৷ এ নিয়ে মতভেদ দেখা দিলে আইএলএস কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবারের লোকজনদেরকে মৃতদেহ দিতে অস্বীকার করে৷ বকেয়া টাকা কর্তৃপক্ষের কথামতো মিটিয়ে না দেওয়া হলে মৃতদেহ পরিবারের লোকজনদের হাত দেওয়া হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়৷আইএলএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন অমানবিক ঘটনা ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷


উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে৷পরপর এসব ঘটনা সংঘটিত করতে থাকলেও হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না৷ আইএলএস হাসপাতালটি চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান এর নাম করে কসাইখানায় পরিণত হয়েছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন৷ সে কারণেই আইনের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে অনেকেই দ্বিমত প্রকাশ করে চলেছেন৷অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ক্রমে আইএলএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকজনরা৷